সুজিৎ নন্দী : [২] কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ সুবিধায় কোরবানি দেওয়ার জন্য রাজধানীতে নির্ধারিত স্থান চিহ্নিত করেছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বলছে করোনার কারণে মানুষকে রাস্তা বা বাসার বাইরে কোরবানি যেন না দেয়। সে কারণে ঈদের দিন কোরবানির কোনও ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে না।
[৩] উত্তর সিটি করপোরেশন কোরবানি ব্যবস্থাপনার ডিজিটাল উদ্যোগকে উৎসাহিত করছে। অনলাইনে পশু কেনাকাটা থেকে শুরু করে মাংস বাসায় পৌঁছে দেওয়ারও উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে নগরীর বিভিন্ন স্থানের নির্ধারিত এলাকায় পশু জবাই দেওয়ার স্থানও চিহ্নিত করে দেবে। দুই সিটির স্বাস্থ্য ভিাগ সূত্রে এতথ্য জানা যায়।
[৪] উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা এবছর হাটের পাশাপাশি ডিজিটাল হাটের ব্যবস্থাও করেছি। এখান থেকে কিন্তু আমরা একটা টাকাও পাচ্ছি না। এজন্য ফুডপান্ডা, সেবা ডটকম, এসএ পরিবহনসহ অন্যান্য কোম্পানির সঙ্গেও আমরা চুক্তি করতে যাচ্ছি। এজন্য আমরা একটা টাকাও নেবো না।
[৫] দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. এমদাদুল হক জানান, আমাদের কাউন্সিলরদের অনেকেই বলেছেন, পশু জবাই দেওয়ার জন্য নির্ধারিত স্থান করে দিলে কেউ সেখানে যায় না। বিগত তিন বছর বছরগুলোতেও এমন চিত্র দেখা গেছে। এবছর যেহেতু প্রেক্ষাপট অনেকটা ভিন্ন, কাউন্সিলররা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কোরবানির মতামত দিয়েছেন। মানুষ নিজেরাই সতর্কতার সঙ্গে নিজের নিজের আয়ত্তের মধ্যে কোরবানি দেবে।
[৬] ডিএনসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, আমরা ঢাকার বসিলা, বনানী ও উত্তরাসহ চারটি এলাকায় পশু জবাই দেবো। যেখান থেকে মাংস বাসাবাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। যদি কেউ চান যে তার মাংসের এক তৃতীয়াংশ আমাদের মাধ্যমে গরিব মানুষের মাঝে বণ্টন করবেন, আমরা সে ব্যবস্থাও রাখবো। আর যত্রতত্র কোরবানি দিলে শহর নোংরা হয়।
[৭] দুই স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, অন্যান্য বছরের মতো যাতে যত্রতত্র কোরবানি না হয়, সেজন্য বিভিন্ন স্থানে প্যান্ডেলও করে দেবো। সেসব স্থানে স্বাস্থ্যবিধি যাতে পুরোপুরিভাবে পালন করা হয় সেটাও দেখভাল করা হবে। আমরা মনে করি মানুষ আমাদের এই সেবা গ্রহণ করবে। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ