শিরোনাম
◈ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ইঙ্গিত: রেকর্ডসংখ্যক কোটিপতি ব্যাংক হিসাব ◈ কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানালো বাংলাদেশ ◈ দুবাইয়ে বিকৃত যৌ.নাচার ব্যবসার চক্রের মুখোশ উন্মোচন এবার বিবিসির অনুসন্ধানে! ◈ জনপ্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি ◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের

প্রকাশিত : ১৩ জুলাই, ২০২০, ১০:৩৬ দুপুর
আপডেট : ১৩ জুলাই, ২০২০, ১০:৩৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ম্যান ইউতে অনুশীলন করা বাংলাদেশী ফুটবলার এখন ঝাড়ুদার

স্পোর্টস ডেস্ক : [২] মনে আছে এয়ারটেল রাইজিং স্টার শিরোনামে দেশব্যাপী হয়ে যাওয়া তরুণ ফুটবলারদের মধ্যে প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রমের কথা। পুরো দেশ চষে বলতে গেলে ছেঁকে বের করে আনা হয়েছিলো দেশসেরা প্রতিভাবান ১২ জন তরুণ ফুটবলারকে। যাদেরকে সুযোগ করে দেয়া হয়েছিলো ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হোম ভেন্যু ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অনুশীলনেরও! এমন মাঠে অনুশীলন করেও ভাগ্যের ফেরে সেই ১২ জনের একজন এখন ফরিদপুরে ঝাড়ুদারের কাজ করছে।

[৩] এয়ারটেল কর্তৃক নির্বাচিত ১২ জনের একজন হয়ে রিপন কুমার দাশ হয়তো ভেবেছিলেন ফুটবল মাঠে আলো ছড়িয়ে একদিন দেশের মুখ উজ্জ্বল করবেন। কিন্ত বাংলাদেশ নামক দেশে জন্ম বলেই হয়তো তার সেই স্বপ্ন আর বাস্তবে পরিণত হওয়ারও সুযোগ পায়নি। পাবেই বা কি করে? এই দেশে যে প্রতিভার কদর করতে জানে না কেউই।

[৪] ২০১২ সালে মুঠোফোন কোম্পানি এয়ারটেলের দেশব্যাপী পরিচালিত প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচিতে নির্বাচিত হয়ে যে ১২ জন ফুটবলার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছিলেন, তাঁদেরই একজন ফরিদপুরের এই রিপন।

[৫] ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ওয়েইন রুনি, রিও ফার্নিনান্দ, রবিন ফন পার্সির মতো তারকাদের দেখে বড় ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন পাখা মেলেছিল রিপনেরও।

[৬] কিন্ত সে স্বপ্ন ডানা ভেঙে পড়েছে বাস্তবতার জমিনে। ফুটবলটা এখনো খেলেন ঠিকই, তবে বড় ফুটবলার হওয়ার স্বপ্নের পরিবর্তে তাঁর জীবনে এখন একটাই লক্ষ্য মাস্টাররোলে ঢুকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর চাকরিটা যদি পাকা করা যায়।

[৭] রিপনের মা, বাবাও ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ অফিসের পরিচ্ছন্নতাকর্মী। ২০১৬ সাল থেকে বছরে প্রায় সাত মাস রিপনও এই কাজই করে যাচ্ছেন। মা–বাবার অবসরের পর নিজের একটি চাকরি হবে, সেই আশায়। রিপনের কণ্ঠে দীর্ঘশ্বাস, “এখন ঝাড়ু দেওয়া, টয়লেট পরিষ্কার করাই আমার কাজ। ক’রোনার সময়ে খেলা নেই বলে মার্চ মাস থেকে প্রতিদিন কাজে আসি।”

[৮] রিপনের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বাফুফের বেতনভুক্ত কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানী জানান, “ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে অনুশীলন করার সুযোগ পাওয়া একজন ফুটবলার পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করে, শুনতেও কষ্ট লাগে। রিপনের মধ্যে অনেক বড় খেলোয়াড় হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এই রকম প্রতিভার হারিয়ে যাওয়া আমাদের জন্য হতাশার।”- প্রথম আলো

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়