ডেস্ক রিপোর্ট : [২]রিজেন্ট হাসপাতালে মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন শেষ নেই। সরকারি প্রতিষ্ঠানের সিল ও প্যাড বানিয়ে করোনার পজিটিভ-নেগেটিভ রিপোর্ট দেয়া থেকে শুরু করে বিপুল অর্থ উপার্জনের সব অনৈতিক কাজই করতেন তিনি।
[৩]সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে নতুন আরও একটি গুরুত্বর অভিযোগ উঠে আসে। সাহেদের খাস কামরায় হাট বসতো সুন্দরী নারীদের। আর সেই নারীদের সঙ্গে বিভিন্ন প্রভাবশালীদের মনোরঞ্জন করিয়ে সাহেদ উপার্জন করতেন বিপুল পরিমাণ অর্থ, করিয়ে নিতেন বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা।
[৪]সাহেদের বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে এসব খবরের সন্ধান পান র্যাব। এই প্রসঙ্গে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম গণমাধ্যমকে জানান, কেঁচো খুড়তে গিয়ে আমরা অ্যানাকোন্ডাই হাতে পেয়েছি। সাহেদের বিষয়ে সামান্য জানতে গিয়ে অনেককিছু উঠে এসেছে। এতদিন বিভিন্ন উপায়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্নভাবে বিপুল টাকার অর্জন করেছেন সাহেদ। যখনই কারো সঙ্গে পরিচয় হয়েছে, তখন তিনি নিজেকে আর্মির মেজর, কখনো কর্নেল পরিচয় দিয়েছেন। আবার কখনো সরকারের খাস লোক, কখনো বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
[৫]এদিকে দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে খবর ছাপিয়েছে, সাহেদের সুন্দরীদের তালিকায় ছিলেন পাঁচ নারী। এরই মধ্যে সেসব নারীর তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। এর মধ্যে তিনটি নাম ঘুরে ফিরে উঠে আসছে। তারা হলেন- লিজা, সাদিয়া ও হিরা মণি। মূলত তাদের দিয়ে প্রভাবশালীদের মনোরঞ্জনের কাজ করতেন সাহেদ।
[৬]শনিবার (১১ জুলাই) এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে গণমাধ্যমটিতে। এতে আরও বলা হয়েছে, বিভিন্ন প্রতারণায় শাহেদ করিম সুন্দরী তরুণীদের ব্যবহার করতো। শাহেদ তরুণীদের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে কাজ বাগিয়ে নিতো। তবে এই অভিযোগের বিষয়ে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে এ ধরনের অভিযোগ আমরাও পেয়েছি। এখন সাহেদকে গ্রেপ্তার করা গেলেই সব কিছু বেরিয়ে আসবে।
সূত্র- আমারসংবাদ