ভূঁইয়া আশিক রহমান : [২] কোরবানি শুধু ধর্মীয় আবেগ-অনুভূতিই নয়, বিশাল অর্থনৈতিক কর্মকা-। ফলে কোভিড-১৯ মহামারিতে গরু বা পশু বেচাকেনা নিয়ে ৯ প্রস্তাব দিয়েছেন দেশবরেণ্য এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।
[৩] ওইসব প্রস্তাবে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন:
[১] হাজারো খামারি লাখ লাখ গরু বছরব্যাপী গরু লালন-পালন করেন কোরবানিতে বিক্রির জন্য। এর সঙ্গে তাদের জীবন-জীবিকার সম্পর্ক আছে। গরু বিক্রির অর্থ দিয়ে জীবন নির্বাহ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় করেন। কোরবানি বন্ধ করলে হাজারো গরুর খামারির বিশাল ক্ষতি হবে।
[২] গ্রামের অনেক মানুষ এক’দুটি গরু বা পশু পালন করেন কোরবানিতে বিক্রি করতে, লভাংশ দিয়ে জীবনের প্রয়োজন মেটান।
[৩] কোরবানির চামড়া ট্যানারি শিল্পকারখানাগুলো ব্যবহার করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে। বহু শ্রমিকের জীবিকাও নির্ভর করে।
[৪] ইজারাদার ও হাটকেন্দ্রিক শ্রমিকেরা কিছু টাকা আয় করেন। সরকার পায় রাজস্ব।
[৫] গরু জবাই, কাটাকুটির সঙ্গে কসাই ও সাধারণ মানুষ সম্পৃক্ত থাকে।
[৬] মসলা ব্যবসায়ীরাও আর্থিকভাবে লাভবান হন কোরবানির সময়।
[৭] অসচ্ছল মানুষ সারাবছর গরুর মাংস খেতে পারে না। কোরবানি হলে একসঙ্গে অনেক মাংস পায়। কিছুটা হলেও পুষ্টির অভাব পূরণ হয়।
[৮] বড় লোকদের অনেকেই ৪-৫টা গরু কোরবানি দেন, এবার একটার বেশি কোরবানি না দিয়ে বাড়তি অর্থঅভাবীদের বন্টন করে দিন।
[৯] পবিত্র হজে যারা যেতে পারবেন না, গরিবের মধ্যে ওই টাকা বিতরণ করে দিতে পারেন, এতে হজের সওয়াবই হবে আপনার। এটা আমার প্রস্তাব, বিবেচনা আপনার। সম্পাদনা: ইকবাল খান