মো. আখতারুজ্জামান: [২] বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রভার্বে ব্যবসা বাণিজ্য প্রায় বন্ধ হয়ে পড়ার উক্রম হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা স্বর্ণে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মূল্যবান এ ধাতুটির দাম। বুধবার আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম ২০১১ সালের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
[৩] আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স বা ২.৪৩০৫ ভরি স্বর্ণের দাম ওঠে ১ হাজার ৮০০ ডলারের বেশি, যা বাংলাদেশি টাকায় মূল্য প্রায় ১ লাখ ৫১ হাজার টাকা।
[৪] বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সভাপতি এনামুল হক খান জানান, বর্তমানে আমাদের দেশে স্বর্ণের যে দাম রয়েছে সেটা অনেকে বেশি। এ মহুর্তে স্বর্ণের দাম বাড়ালে গ্রাহক পর্যায়ে বিরুপ প্রভাব পড়বে। আমার আর কিছুদিন দেখবো। আগামী সপ্তাহে যদি আবারও আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ে তাহলে তখন হয়তো বা আমাদের বাড়াতে হবে। তবে এখন যে মূল্য আছে সেটা অন্য দেশের তুলনায় ২ হাজার টাকা কম।
[৫] তিনি বলেন, বৈধ্যপথে স্বর্ণ আসলে যে দেশের বাজারে দাম কমবে এ ধারণা ভুল। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে আমাদের বাজারে প্রতিভরি স্বর্ণের দামের পাথক্য হচ্ছে ১,৫০০ থেকে ২,০০০ টাকা কম। প্রতিভরি স্বর্ণ আমদানি করতে সরকারকে দিতে হয় ২০০০ টাকা। আরও অন্যান্য খরচ বাবদ আরও দিতে হয় ১০০০ টাকা। সব মিলে ৩০০০ হাজার টাকা খরচ হয়।
[৬] এনামুল হক বলেন, দেশে প্রতিবছর কি পরিমাণ স্বর্ণের চাহিদা রয়েছে সেটা নির্ধারণের জন্য সরকারি বা বেসকারি কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। ফলে এটা জানতে আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে আগামী বছর পর্যন্ত।