রাহুল রাজ: [২] সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের মধ্যে উপরের সারিতে তামিম ইকবালের নাম। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে তামিমের ক্যারিয়ারের ৭ম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
[৩] বিগত ৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তামিমের ব্যাট বড় দলের বিপক্ষে মোটেও ঝলসে ওঠেনি। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তামিম ৫ ম্যাচে ৭১.৭৯ স্ট্রাইক রেটে সর্বমোট ৫৬ রান করেন। সর্বোচ্চ স্কোর ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪০ বলে ৩২ রান।
[৪] ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তামিম ২ ম্যাচে সর্বমোট রান করেন ৩৭। এই বিশ্বকাপে স্ট্রাইক রেটে ছিল ৯৭.৩৮। সর্বোচ্চ স্কোর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২৮ বলে ২২ রান।
[৫] ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই টাইগার ওপেনার খেলেন একটি মাত্র ম্যাচ। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচে তিনি খেলেন ১৮ বলে ১৯ রানের একটি সাদামাটা ইনিংস। স্ট্রাইক রেট ছিল ১০৫।
[৬] ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২ ম্যাচে করেন সর্বমোট ২৪ রান। স্ট্রাইক রেট ১৬০। সর্বোচ্চ স্কোর ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে ১২ বলে ২৪ রান।
[৭] ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাছাইপর্ব ও মূলপর্ব মিলিয়ে এই জেষ্ঠ তারকা ম্যাচ খেলেন ৭ টি ম্যাচ। ৮৬.৮৩ স্ট্রাইকরেটে সেবার তিনি রান করেছিলেন সর্বমোট ৮৩। সর্বোচ্চ স্কোর ছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৩ বলে ২১ রান।
[৮] ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ব্যাটসমান ছিলেন তামিম ইকবাল। ভিরাট কোহলিকে পেছনে ফেলে এই আসরে তিনি ৬ ম্যাচে ৭৩.৭৩ গড়ে ২৯৫ রান করেন। স্ট্রাইকরেট ছিল ১৪২। কিন্তু তামিম ইকবাল ওই আসরে বাছাইপর্বেই করেন ৩ ম্যাচে ২৩৩ রান, গড় ৭৭.৭, স্ট্রাইকরেট ১৫৮। বাছাইপর্বে নিচু সারির দল নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড এবং ওমানের বিপক্ষে রানের ফুলঝুরি ছড়িয়েছিলেন তামিম। নেদারল্যান্ডস বিপক্ষে ৫৮ বলে ৮৩, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬ বলে ৪৭ এবং ওমান বিপক্ষে মাত্র ৬৩ বলে ১০৩ রানে নিজের ক্যারিয়ারের একমাত্র টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করেন।
[৯] কিন্তু মূলপর্বে ৩ ম্যাচে ৬২ রান, স্ট্রাইক রেট ৮৮.৫৭। ভারতের বিপক্ষে ৩৫ বলে ৩২, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ বলে ৩, পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩০ বলে ২৪। ছয় বিশ্বকাপে তামিমের মোট সেঞ্চুরি ১ টি, হাফসেঞ্চুরি ১। দুটিই সহযোগী দলের বিপক্ষে। বড় দল গুলোর মধ্যে শুধুমাত্র ভারতের বিপক্ষে তামিম ৩২ রানের একটি ইনিংস আছে।
[১০] আসন্ন বিশ্বকাপে শক্ত দলের বিপক্ষে ব্যাট জ্বলে না উঠলে নতুন প্রজন্মের কাছে নিজেকে আইকোন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা কঠিন হয়ে যাবে তামিম ইকবালের জন্য- এমন মন্তব্য করেছেন সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাসুদ পাইলট।