মুসফিরাহ হাবীব: [২] সমাজের বেশির ভাগ মানুষই এখনও মনে করেন ডিপ্রেশনটা কোনও রোগ নয়। আর এই সুযোগেই চোরা মহামারীর মতো বিস্তার লাভ করছে অবসাদ বা ডিপ্রেশন। মানুষ শেষ পর্ষন্ত বেছে নিচ্ছে আত্মহত্যার পথ।
[৩] এটি এমন এক রোগ যে মুখ দেখে কেউ বোঝে না অপরদিকের মানুষটি গভীর ডিপ্রেশনে রয়েছে ! বুঝলেও ও কিছুনা বলে পাত্তা না দিয়েই সবাই চলে যায়। যার পরিণতি ভয়ঙ্কর। সোশ্যাল ডিপ্রেশন আমাদের একটা মনের বড় জায়গা জুড়ে থাকে। কিন্তু সেই অবসাদের কথা কাউকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলা যায় না।
[৪] তবে বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন পারেন। আজ বলিউডের তারকা অভিনেতা সুশান্তের মৃত্যুর পর অবসাদ নিয়ে এত কথা হচ্ছে। অথচ ২০১৫ সালেই দীপিকা ডিপ্রেশন নিয়ে কাজ করা শুরু করেছিলেন 'লিভ লাভ লাফ ফাউন্ডেশন" দিয়ে।
[৫] মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা এই ফাউন্ডেশনের কাজ। অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি নিজেও গভীর অবসাদে ভুগেছেন। সেই সময় একজন মানুষের দরকার একটা হাত যাকে সব বলা যায়। তাহলেই মুক্তি পাওয়া যায়।
[৬] সুশান্তের মৃত্যুর পর মানসিক অবসাদ নিয়ে নানা কথা ওঠার এই সময়ে আরেকবার দীপিকা তার ফাউন্ডেশনের তৈরি 'দোবারা পুছো' ভিডিওটি নিজের ইনস্টাতে শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, "আজ থেকে আমরা আমাদের আশে পাশের মানুষগুলোর প্রতি আর একটু যত্নশীল হই। যাদের দরকার তাদের মন থেকে উৎসাহ দিই, সাপোর্ট করি।" চিকিৎসক দিবসে মানুষকে আরেকবার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও সচেতন হতে ও ভাবতে বলেছেন দীপিকা।