সুজন কৈরী : [২] গ্রেপ্তার জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী আরিফুলের সহযোগী মাসুদসহ কয়েকজনে খুঁজছে পুলিশ।
[৩] কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন জোবেদা খাতুন সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার (জেকেজি হেলথ কেয়ার) কর্তাব্যক্তিরা। পরীক্ষায় নানা ভোগান্তি থাকার দুর্বলতার সুযোগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আর নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রচার চালাতেন তারা। ফাঁদে পা দিলে ভুক্তভোগীদের বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হতো। জেকেজি বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের কাজটি করার শর্তে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিলেও নিয়ম ভেঙে বুকিং বিডি ও হেলথকেয়ার নামে দুটি সাইট খুলে টাকার বিনিময়ে রোগীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহের পর তা ফেলে দিয়ে জাল রিপোর্ট দিতো।
[৪] ওভাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ার কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করতো। এজন্য জন প্রতি ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা নেয়। পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করতে হলেও তারা কম্পিউটারে তৈরি করা মনগড়া রিপোর্ট রোগীর কাছে পাঠিয়ে দিতো। ওভাল গ্রæপের চেয়ারম্যান হলেন জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের ডা. সাবরিনা সুলতানা। তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরী জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
[৫] গত ২৩ জুন তেজগাঁও থানা পুলিশ জেকেজি হেলথ কেয়ারের আরিফুল চৌধুরী, হুমায়ন কবীর, হুমায়নের স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারিসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাদ করে পুলিশ। হুমায়ুন ও তার স্ত্রী জব্দ করা কম্পিউটার-ল্যাপটপ এবং জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। গ্রেপ্তার হুমায়ুন জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ও তার স্ত্রী জেকেজিতে ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার কাজ করলেও শুধু বেতনই পেতেন। বেশি টাকা রোজগারের আশায় চাকরি ছেড়ে স্ত্রীকে নিয়ে নিজেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা শুরু করেন।
[৬] ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের সহকারী কমিশনার মাহমুদ খান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। এই সিন্ডিকেটের প্রধান আরিফুলের বিশেষ সহযোগী মাসুদসহ কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তারা জেকেজিতে কাজ করতো। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
[৭] এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আরিফুলের স্ত্রী ডা. সাবরিনার সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেছেন। তবে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।