মনিরুল ইসলাম : [২] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে আস্বস্ত করে বলেছেন, সামনে যে কোন সংকট আসুক না কেন আওয়ামীলীগ সরকার তা শক্ত ভাবে মোকাবেলা করবো। তিনি বলেন, যতবাধাই আসুক না তা অতিক্রম করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এগিয়ে যাচ্ছে।
[৩] তিনি বলেন,করোনা মহামারির কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি মহামন্দার দ্বারপ্রান্তে। জাতি একটি ক্রান্তিলগ্নের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্বব্যাপী এই সমস্যা। তবে দেশের সব ধরনের মানুষ যাতে উপকৃত হয় এজন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। এজন্য আমরা ১৯টি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
[৪] সোমবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী করোনা উপলক্ষে নেয়া সরকারের যাবতীয় ব্যবস্থাও সংসদে তুলে ধরেন।
[৫] প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশ স্বাধীন হবার পর থেকে ২০টি বাজেট দিয়েছে। তিনি জাতির পিতা ৩টি বাজেট দিয়ে গেছেন। আর আমরা ১৭ টি বাজেট দিয়েছি। অতীতে বাজেট বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়নি। আমরা কখনো হতাশায় ভূগি না। বাজেট করতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।
[৬] তিনি বলেন, মহামারি কোভিড-১৯ মহাদুযোর্গের কারণে আজকে বিশ্ব অর্থনীতি মহামন্দার দ্বারপ্রান্তে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ২০২০ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতি চার দশমিক ৯ শতাংশ সংকুচিত হবে বলে প্রাক্কলন দিয়েছে। করোনার প্রভাবে বিশ্বব্যাপী ১৯ কোটি ৫০ লাখ কর্মীর চাকরি হ্রাস, বৈশ্বিক এফডিআই প্রবাহ ৫ থেকে ১৫ শতাংশ হ্রাস এবং বৈশ্বিক রেমিটেন্স ২০ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ঘোষণা দিয়েছে। ঠিক এই পরিস্থিতিতে আমরা বাংলাদেশে একটি বাজেট প্রণয়ন করেছি। এই বাজেট প্রণয়ন অত্যন্ত কঠিন ও দুরূহ কাজ ছিল। এই বাজেট প্রণয়নের সাথে যারা জড়িত, তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেন, সাধারণ ছুটির মধ্যে তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে বাজেট প্রণয়ন করেছেন।
[৭] করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরণকারী সকলের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রাণঘাতী বৈশ্বিক মহামারির হাত থেকে দেশবাসী ও বিশ্ববাসী যেন মুক্তি পান। চিকিৎসাধীনরা যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন।
[৮] তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে এটি দ্বিতীয় বাজেট। আওয়ামী লীগ সরকার এ পর্যন্ত ২০টি বাজেট দিয়েছে। বাজেটে আমরা স্বাস্থ্য, কৃষি এবং সামাজিক নিরাপত্তা এগুলোতে জোর দিয়েছি।