শরীফ শাওন : [৩] ২২ জুন বিলুপ্ত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের মেয়াদ। গতবছরের ১১ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ২৩ মার্চ দায়িত্ব নেন। এক বছর মেয়াদি সংসদের মেয়াদ এবছরের ২২ মার্চ শেষ হয়। তবে নির্বাচনের পরবর্তী তারিখ ঘোষণা না করায় মেয়াদ আরও ৯০ দিন বাড়ানো হয়।
[৪] মেয়াদ না থাকলেও পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব পালনে আগ্রহ ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর ও জিএস গোলাম রাব্বানীসহ সংসদের একাংশের। তারা জানান, দীর্ঘদিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় দায়িত্ব পালন করার সুযোগ ছিলোনা।
[৫] নুরুল হক নুর বলেন, গত ১৪ জুন সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে নির্বাচন নিয়ে কথা বললেও উপাচার্য কোন উত্তর দেননি। নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবরই নিস্ক্রিয় থাকছে। তিনি বলেন, দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে সে পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের বিষয়ে দ্রুত ডাকসুর সভাপতির সঙ্গে আমরা আলোচনায় বসবো।
[৬] গোলাম রাব্বানী বলেন, ছয় মাসের অডিট সম্পন্ন হয়েছে। ৯০ লাখ টাকা অব্যবহৃত আছে। শিক্ষার্থীদের জন্য টাকা খরচসহ বাকি ছয় মাসের অডিট সম্পন্ন করতে চাই। তিনি বলেন, সংসদ বাতিল হওয়ার চেয়ে পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত যেন দায়িত্ব পালন করতে পারি সে বিষয়ে উপাচার্যের কাছে দাবি জানাবো।
[৭] ডাকসুর সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, সবকিছু নিয়মের মধ্যে হবে। আমার একক সিদ্ধান্তে নয়, অনেক স্টেকহোল্ডার জড়িত। তাদের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন।
[৮] এদিকে, ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেনসহ একাংশ মনে করেন, পদ ধরে রাখার চেষ্টা অনৈতিক ও অগণতান্ত্রিক। সাদ্দাম হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা গণতন্ত্রের চর্চা করে। তারা এমন সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :