শাহীন খন্দকার : [২] সংবাদকর্মী, ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং যারা সামনে থেকে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় কাজ করছেন তাদের চিকিৎসার খরচের উপর ২০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থা রেখে একটি পূর্ণাঙ্গ কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে যাত্রা শুরু করলো জয়নুল হক সিকদার ওমেন্স মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালের গুলাশান শাখা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক স্বপন এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ হাসপাতালের উদ্বোধন করেন।
[৩] প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, সিকদার গ্রুপ বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতের পথ প্রদর্শক। তিনি আরও বলেন, এই হাসপাতালটি গত ২০ বছর ধরে সুনামের সাথে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। আমার মা বহুদিন আগে এই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সেবা নিয়েছিলেন। আমি আশাবাদী কোভিট-১৯ চিকিৎসায় তারা তাদের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখবে।
[৪] পঞ্চাশ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে রয়েছে দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ ডাক্তার, নার্স এবং অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। করোনা স্যাম্পল সংগ্রহের জন্য আলাদা ইউনিট, আইসোলেশন ওয়ার্ড ছাড়াও এখানে রয়েছে ২১টি নতুন সিসিইউ এবং আইসিইউ বেড, পিসিআর ল্যাব, ভেন্টিলেটর, নেবুলাইজার মেশিন, কার্ডিয়াকমনিটর, বহনযোগ্য ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন, সিটি স্ক্যান মেশিন, ইসিজি, ইকো, এমআরআই এবং অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত কেবিন ও ওয়ার্ড।
[৪] অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিকদার গ্রুপের পরিচালক এবং সংসদ সদস্য পারভিন হক সিকদার। তিনি বলেন, আজকে সিকদার গ্রুপের জন্য একটি বিশেষ দিন। আমরা আরও একবার মানুষের সেবা করার সুযোগ পাচ্ছি। আমার বাবা, সিকদার গ্রুপের চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার করোনা সংকটের একদম শুরুরদিকে সরকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে ছিলেন যে, সরকার চাইলে আমাদের সব হাসপাতাল প্রয়োজনমত ব্যবহার করতে পারবে।
[৫] উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, এই সংকটময় সময় দেশের জন্য যে সহযোগিতাটা সবচেয়ে বেশি জরুরি ছিল সেটি নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য আমি সিকদার গ্রুপের কাছে বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ। সিকদার গ্রুপের এই এগিয়ে আসা করোনার মোকাবেলায় আমাদের অনেক দূর এগিয়ে নেবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
[৬] দেশের চিকিৎসা খাতের সবচেয়ে নির্ভর যোগ্য ও বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানের নাম জয়নুল হক সিকদার ওমেন্স মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতাল। বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবা খাতের অনেক প্রথমের সাথে জড়িয়ে আছে এই প্রতিষ্ঠানটির নাম। এর মধ্যে, ১৯৯২ সালে নারীদের জন্য চিকিৎসা শিক্ষা নিশ্চিত করতে আলাদা মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা, প্রথম বারের মত হার্টের চিকিৎসা এবং দেশে প্রথম বারের মত সফল ওপেনহার্ট সার্জারি বিশেষভাবে উলেখযোগ্য।
[৭] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে দ্বিতীয় হাসপাতালকে সম্পন্ন রূপে কোভিট-১৯ রোগের চিকিৎসা উপযোগী করে তোলা হয়। হাসপাতালের গুলশান শাখায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনেকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালটির পরিচালক, স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক (হাসপাতাল) এবং স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতের সংশিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি গণ।
আপনার মতামত লিখুন :