ডেস্ক রিপোর্ট : [২] অর্থপাচার ও মানবপাচারের অভিযোগে গত ৬ জুন কুয়েতে আটক হন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে বেশ জোরেশোরে তদন্তে নামে কুয়েত সরকার। এরইমধ্যে পাপুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য টানা ৮ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশন বিভাগ।
[৩] লক্ষীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুলকে আটকের পর তদন্ত চলার মধ্যে এটিকে ‘সবচেয়ে বড়’ মানবপাচারের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেছেন কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী আনাস আল-সালেহ। যিনি উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বের পাশাপাশি কুয়েতের মন্ত্রিপরিষদবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
[৪] আটক বাংলাদেশি সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিষয়ে কুয়েত সরকার যে কঠোর অবস্থান নিয়েছে তারই ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী।
[৫] পাপুলের পর দেশে সবচেয়ে বড় মানবপাচার চক্রের হোতাকে আটক করার কথা জানিয়েছেন কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী। আটক ব্যক্তি এশিয়ার একটি দেশের নাগরিক বলে জানান তিনি।
[৬] উপ-প্রধানমন্ত্রী কারও নাম উল্লেখ না করে শনিবার এক টুইট বার্তায় মানবপাচারের বিষয়ে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, মানবপাচারের অভিযোগের তদন্তে সরকারি কর্মকর্তা ও প্রভাবশালী ব্যক্তি যে-ই হোক না কেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। কাউকে ন্যূনতম ছাড় দেয়া হবে না।
[৭] শনিবার রাতে কুয়েতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কুনা এসব তথ্য জানিয়েছে।
[৮] মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে তদন্তে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে টুইটেকুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তদন্তে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি সরকারি কর্মকর্তা হোন কিংবা বিশিষ্ট কোনো নাগরিক, তাকে বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে।যুগান্তর, প্রিয়ডটকম
আপনার মতামত লিখুন :