মঈনুল আহসান সাবের : রোগী নিয়ে এক হাসপাতালে। হাসপাতালের সামনে পৌঁছাতেই টের পেলাম হাসপাতাল কাঁপছে। অনেকটা ভূমিকম্পের মতো। তবে তখন রোগী ভর্তি নিয়ে কথা। জানালাম, করোনা না, অন্যকিছু। দেখুন। পরীক্ষা করে তারা জানালেন, ভর্তি করে নিতে পারলে খুব ভালো হতো। কিন্তু স্যার আমাদের এখানে একটি সিটও খালি নেই। বিশ্বাস না হলে আপনি নিজে দেখুন। দেখার প্রয়োজন বোধ করলাম না।
রোগী নিয়ে অন্য হাসপাতালে যাব বলে বের হলাম। এতোক্ষণ টের না পেলেও বের হওয়ার সময় মনে হলো হাসপাতাল কাঁপছে। দ্বিতীয় হাসপাতালেও একই অবস্থা। হাসপাতাল কাঁপছে। আর, সিট নেই।
এভাবে কয়েকটা হাসপাতাল দেখা হলো। প্রতি হাসপাতালই কাঁপছে। কিন্তু সিট দিতে পারছে না। আমি কয়েকটির ভেতরে ঢুকে দেখলাম। সত্যিই ঠাসা অবস্থা, সিট দেওয়ার উপায় নেই। রোগী বেশি হলে সিট দেওয়া সম্ভব না, সে বোঝাই যায়। কিন্তু হাসপাতালগুলো এমন কাঁপছে কেন।
শেষে একটা হাসপাতালকে আমি জিজ্ঞেস করেই বসলাম, ভাই, সমস্যা কী আপনাদের। হাসপাতাল কাঁপতে কাঁপতে উত্তর দিল, হাছান মাহমুদ স্যার বলেছেন, রোগী ফিরিয়ে দিলে আমাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। কতোজন মিথ্যা খবর প্রচার করতে পারে যে, সিট ছিলো, কিন্তু...। কাঁপাকাঁপি ছাড়া আর কোনো উপায় আছে আমাদের?