ইমরুল শাহেদ : সরকারি ছুটির মেয়াদ না বাড়ায় সাংস্কৃতিক অঙ্গন ধীর গতিতেই মুখর হয়ে ওঠেছে বলা যায়। ইতোমধ্যে কেউ কেউ শুটিং জোনে ফিরেছেন। দীপ্ত টেলিভিশনের ধারাবাহিকের কাজ শুরু হয়েছে। আরো দু’একজন ইনডোরে কাজ করছেন। শুটিং জোন থেকে তোলা ক্রুদের ফেসবুকে দেওয়া ছবিতে দেখা যায়, শুটিংয়ের সময় শিল্পীদের মুখে কোনো মাস্ক না থাকলেও ক্রুদের মুখে মাস্ক আছে। আর স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব বলতে যা বুঝায় তা কতোটা মেনে চলা হচ্ছে তা শুটিং জোনে না গিয়ে বলা যাচ্ছে না। তারপরও সংস্কৃতিকর্মীরা ভাবছেন কিভাবে কাজ করলে স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মানা হবে। কোডিভন-১৯ মহামারীর এই সময়ে কেমন চেহারা হবে নাটকের, মঞ্চ নাটকের চেহারা কেমন হবে, চলচ্চিত্রের শুটিং কিভাবে হবে ইত্যাদি। চলচ্চিত্র নিয়ে ইতোমধ্যেই বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি বলতে দূরত্ব রক্ষা করে চলচ্চিত্রের শুটিং সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে নায়ক-নায়িকাসহ সকল শিল্পী-কুশলীকে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করে শুটিংয়ে আসতে হবে। একই সময়ে এফডিসি কর্তৃপক্ষও চারটি শর্ত আরোপ করেছে। সে সব শর্ত মেনে কেউ কাজ করতে চাইলে করতে পারবেন। ৫ জুন থেকে চলচ্চিত্রের শুটিং শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এই অঙ্গনের আন্তঃসংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে। পরিচালক অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড যথাযথ অনুমতি নিয়েই কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে কোভিড-১৯ ইন বাংলাদেশ ছবিটির একদিনের শুটিং করেছেন। এ সময় তার ইউনিটে একজন ডাক্তারও উপস্থিত ছিলেন। যাতে ইউনিটের কারো স্বাস্থ্যবিধি লংঘিত না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেছেন তিনি। তবে তিনি এটা করেছেন ব্যক্তিগত উদ্যোগে। টিভি নাটক এবং চলচ্চিত্র - দুটো ক্ষেত্রই এখন ধীরে ধীরে শুটিং নিয়ে সক্রিয় হচ্ছে। অনেকে এখনো লোকেশনে ফিরতে সাহস করছেন না। শিল্পীরাও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে লোকেশনে না ফেরার কথা বলছেন। তারা চান পরিস্থিতি অন্তত কিছুটা স্বাভাবিক হলে কাজে ফিরতে তাদের কোনো সমস্যা নেই।