লাইজুল ইসলাম : [৩] সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি ইপিআইয়ের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মওলা বক্স চৌধুরি বলেন, করোনা প্রভাবের কারণে বাংলাদেশের যাতে শিশুদের টিকাদানে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সব ধরনের ভ্যাকসিন হাতে আছে। যখনই ঘোষণা আসবে তখনই শিশুদের ভ্যাকসিন কার্যক্রম চালানো যাবে।
[৪] ডা. মওলা বক্স বলেন, সারা বছরের যে টিকাদান কার্যক্রম তাতেও কোনো সমস্যা হচ্ছে না। প্রথম দিন থেকে প্রথম সপ্তাহ ও প্রথম মাস থেকে ৬ মাস পর্যন্ত যেসব টিকা দিতে হয়। সব হাতে আছে। ১৮ মাস ও ২৪ মাসের যে টিকাগুলো বাচ্চাদের দিতে হয় সেগুলোও পর্যাপ্ত রয়েছে।
[৫] ডা. মওলা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও বিদেশ থেকে আমরা বিশেষ ফ্লাইটে করে ওষুধ আনিয়েছি। ভ্যাকসিন গুলো ইতমধ্যে পৌছে দেয়া হয়েছে। আমাদের নিজস্ব গাড়ি যোগে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যকর্মীদের হাতে পৌছে গেছে ভ্যাকসিন।
[৬] ইপিআইয়ের প্রোগ্রাম ম্যানেজার বলেন, গ্রাম-গঞ্জে আমাদের ২৬ হাজার সেবাকর্মী কাজ করে। তাদেরকে দিয়ে আমরা একটা রাফ করিয়েছি। যাতে কোনো নবজাতক টিকাদান কর্মসূচি থেকে বাদ না পরে। এমন ভাবে করিয়েছি যাতে আমরা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে নির্দিষ্ট বাড়ি গুলোতে শিশুদের টিকা দিয়ে আসতে পারি।
[৭] ডা. মওলা বলেন, আমরা ১০টি রোগের ৬টি টিকা দিয়ে থাকি। যক্ষা, হাম, ডাইরিয়াসহ অন্যান্য রোগের টিকা সব সময় সরকার দিয়ে থাকে। আমরা একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন ও টিকা দিয়ে থাকি। সেগুলো প্রস্তুত করা আছে।