শাহীন খন্দকার : [২] খেটে খাওয়া মানুষদের দাবি করোনা আমাদের জন্য না, করোনা উচুতলার মানুষদের জন্যে ! কৃষি বাজারের সবজি বিক্রেতা তৌফিক এলাহী জানালেন, করোনা চলাকালীন সময় থেকে পাড়া-মহল্লায় সবজি বিক্রি করে চলেছি । সেই সাথে কৃষি বাজারের সামনের রাস্তার ফুটপাতে। কিন্ত করোনা নামে আতঙ্ক সর্ম্পশ করতে পারেনি। এদিকে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীতে বিপর্যস্ত মানুষের জীবন। এর মধ্যেই দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে বিভিন্ন দেশ তুলে নিচ্ছে লকডাউন।
[৩] দেশে গত মার্চের ২৬ তারিখ থেকে কয়েক দফায় চলা অঘোষিত লকডাউনের ৬৬ দিন পর গত ৩১ মে তা তুলে নেওয়া হয়েছে। সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি তথা লকডাউনের সময় স্তব্ধ হয়ে আসে দেশ। তবে আজ রাজধানীর আগারগাঁ ,শ্যামলী, কৃষি বাজার, প্রিন্সবাজার,আগোরার চিত্র ছিল ভিন্ন। সব অলিগলিতে ছিল মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে কয়েকগুণ। প্রতিদিনই বাড়ছে রাজধানীতে ফেরা মানুষের সংখ্যা। সেই সঙ্গে বাড়ছে করোনা রোগী বাড়ার আশঙ্কা।
[৪] এ সম্পর্কে আদাবার ও শেরেবাংলা নগর থানার ওসি বলেন, 'ঈদের পরে রাজধানীতে কর্মজীবী মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। অপ্রয়োজনে যাতে কেউ বের না হয় সে বিষয়ে আমরা নজর রাখছি। সন্ধ্যার পর বিভিন্ন অলিগলিতে থানা পুলিশ টহল দিচ্ছে। তিনটার পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং করা হচ্ছে। যাতে চারটার পরে সবাই দোকানপাট বন্ধ রাখে এবং মাস্ক ছাড়া কেউ রাস্তায় বের না হয়।'
[৫] সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে পুঙ্গু ,শিশু, নিউরোসার্জারি হাসপাতালসহ ফেরার পথে মার্কেটসহ মোহম্মদপুরের গলিতে মানুষের সরব উপস্থিতি। অনেকের মুখেই মাস্ক নেই। হাতে গ্লাভস নেই । তবে নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে আগের মতো করোনা আতঙ্ক দেখা যায়নি। এলাকায় ভ্যান চালক রিকসা চালকরা বলেন, 'আমার বাসা শহিদনগর, 'আল্লাহর রহমতে আমাগো কারো করোনা হয় নাই। হইবও না! গরিবগো আল্লাহ বাঁচাইবো। অনেকদিন কাম কাজ করি নাই আর কতদিন বইসা থাকমু? মাইনসের ভিক্ষার জন্য চাইয়া থাকমু।