শিমুল মাহমুদ : [২] গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জিআর কোভিড-১৯ র্যাপিড ডট ব্লোট প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকার বলেন, ‘রোগীর থুতু থেকে নেওয়া নমুনা আমাদের অ্যান্টিজেন কিটের মাধ্যমে টেস্ট করলে কোভিড ১৯ শনাক্তের ক্ষেত্রে ভালো ফল পাওয়া যায়। কিন্তু নমুনা সংগ্রহের অনেক সময় দেখা যাচ্ছে থুতুর বদলে কফ চলে আসছে। সে ক্ষেত্রে টেস্ট করলে পরিপূর্ণ ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আমরা এ বিষয়টি জানিয়ে বিএসএমএমইউকে চিঠি দিয়েছি।’
[৩] তিনি বলেন, ৩ নমুনা সংগ্রহে বিকল্প পদ্ধতি আগামী সপ্তাহের মধ্যে আমরা উনাদের দিয়ে দেবো। আপতত পরীক্ষা না করার অনুরোধ জানিয়েছি। একই সঙ্গে ‘আমরা ওনাদের বলেছি অ্যান্টিবডি কিট সংক্রান্ত প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে এর রেজাল্ট ঔষধ প্রশাসনকে দিয়ে দিতে।
মঙ্গলবার (২ জুন) বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ অনুরোধ জানান।
[৪] চিঠিতে বলা হয়, সম্প্রতি জিআর কোভিড ১৯ র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিটের নমুনা যথাযথ প্রক্রিয়ায় সংগ্রহে অসামঞ্জস্যতা পাওয়ায় সঠিক ফলাফল নির্ণয়ে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অ্যান্টিজেন শনাক্তকরণের জন্য যথাযথ উপকরণ লালার নমুনায় থাকছে না বা অন্য বস্তুর মিশ্রণ লক্ষণীয়। সম্মিলিত মনিটরিং টিম এ সমস্যাটি চিহ্নিত করেছে। গণস্বাস্থ্য আরএনএ বায়োটেক টিম এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য তাদের আরএন্ডডি ল্যাবে সুনির্দিষ্টভাবে সর্বোপরি ব্যবহার যোগ্য লালা সংগ্রহ পদ্ধতি প্রয়োগের কাজ শুরু করেছে। শিগগিরই বিষয়টি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র জানাতে পারবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
[৫] এ অবস্থায় গণস্বাস্থ্যের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, আমাদের লালা সংগ্রহের সঠিক পদ্ধতি নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত অ্যান্টিজেন টেস্ট কিটটির পরীক্ষা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি। প্রয়োজনে আমরা এই দুইটি লট ফেরত এনে নতুন লট বদলে দেবো।
[৬] তবে অতি দ্রুত অ্যান্টিবডি কিটের সকল কাজ শেষ করে তার ফলাফল ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কাছে দিতে চিঠিতে অনুরোধ জানায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
আপনার মতামত লিখুন :