ধারাবাহিক প্রতিবেদনের শেষপর্ব
রাহুল রাজ : [২] রশিদ খান বাংলাদেশ সফরে এসে বলেছিল, আফগানিস্তানের এক ক্যাম্পেই একসাথে অনুশীলন করে ১২০ জন লেগ স্পিনার। অতীত থেকে বর্তমান পরিসংখ্যান ঘাটলেই বোঝা যায় একজন রিস্ট স্পিনার দলের ফলাফলে কতখানি গুরুত্ব রাখে।
[৩] বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাগজে কলমে কয়েকজনের নাম থাকলেও তারা নেই একাদশের ধারে কাছেও। জুবায়ের লিখন, তানভির হায়দার বা মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদির বাঁকে কোচ নির্বাক হলেও নির্বাচকেরা নিশ্চুপ।
[৪] লিখনের পরিসংখ্যানই বলে খুব অল্প সময় জাতীয় দলে ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালের অক্টোবরে ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হওয়া লিখনের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ১৩ মাস টিকেছিল। ২০১৫ সালের জুলাই-আগস্টে মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে শেষ টেস্ট খেলে ঐ বছরই ১৩ নভেম্বর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে শেষ ম্যাচটি খেলেন লিখন। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সেটি ছিল টি-টোয়েন্টি। তারপর ৪ বছর কেটে গেলেও জাতীয় দল বহু দূরে এ দল, হাই পারফরমেন্স ইউনিট আর একাডেমি দলেও জায়গা মিলছে না তার।
[৫] নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানান ‘লিখনে জন্য আমরা চেষ্টা করেছি। মাঝে একবার ‘এ’ দলের সঙ্গে আয়ারল্যান্ড পাঠানো হয়েছে।’ ওর বয়স মাত্র ২৩ সামনে নিজেকে আরো পরিপক্ক করলে আবার সুযোগ আসবে।
[৬] লিখনের মত হঠাৎ করে জাতীয় দলে লেগ স্পিনার হিসাবে স্থান পেয়েছিল তানভীর হায়দার। কিউইদের বিপক্ষে দেশের মাটিতে ওয়ানডেতে অভিষেক হয়। দুই ম্যাচে একাদশে সুযোগ পেলেও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি।
[৭] গত বিপিএলে মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদি নামের ১৫ বছরের এক লেগস্পিনারকে নিয়ে বেশ আলোচনা হলেও স্পটলাইটে আসতে পারেনি।
[৮] জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিক জানান, আফ্রিদিকে নিয়ে দারুণ আশা রাখা যায়। তার ভেতর ‘কাঁপিয়ে দেয়ার’ মতো প্রতিভা আছে। দুই-এক ম্যাচে একজন লেগ স্পিনারের প্রতিভা বোঝা যায় না। অন্তত ৫টি ম্যাচ সুযোগ দিতে হবে। বিসিবির হাতের কাছে বেশকিছু লেগস্পিনার থাকলেও তাদের কেন সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না সেই প্রশ্নই ছুঁড়ে দিয়েছেন রফিক।