মুনশি জাকির হোসেন : ২০ মে’র ঝড়, জলোচ্ছ্বাসের প্রাথমিক ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ ১ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি তো আছেই। সামনের মাসে সরকারকে বাজেট ঘোষণা করতে হবে। গত দুই মাসে সরকারের রাজস্ব নেই, উল্টো সর্বত্র ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এই অবস্থা কতোদিন চলবে কেউ জানে না। করোনাভাইরাসের শুরুর দিকেই সরকারের কৃচ্ছতা/ব্যয় সংকোচন নীতির বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল।
সামনে এ রকম আরো কয়েকটি ঝড়/জলোচ্ছ্বাস আসবে, ফসল হানি হবে। এটি প্রতিবছরই আসে। এর উপর বন্যার পূর্বাভাস, এর উপর করোনাজনিত কারণে জনজীবন স্থবির। এবং কৃষি উৎপাদনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা প্রায় অসম্ভব। অন্যদিকে, করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতে গিয়ে সরকার রীতিমতো লকডাউন/শাটডাউন/সরকারি ছুটি এসব করে বিষয়টিকে সাপ লুডু খেলাতে পরিণত করেছে। একেবারেই যাচ্ছেতাই অবস্থা। সরকার হার্ড লকডাউনে যেতে পারেনি কেন? নাকি যেতে ইচ্ছুক না। এটি আদৌ বোঝা যাচ্ছে না। সরকার কেন শুরুতেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করল না।
এটি আজও বোধগম্য না। এই সব তামাশা না করে অনতিবিলম্বে সরকারের উচিত হয় হার্ড লকডাউন ঘোষণা/কার্যকর করা, না হয় সবকিছু ওপেন করে দিয়ে হার্ড ইমিউনিটির দিকে চলে যাওয়া। সময়োচিত পদক্ষেপ না নিলে করোনাতেও মানুষ মরবে, অর্থনৈতিক দুর্যোগেও মানুষ মরবে। সেটি সরাসরি দুর্ভিক্ষ না হলেও পরোক্ষভাবে অপুষ্টিজনিত, সামাজিক বিশৃঙ্খলা জনিত কারণেও হতে পারে। ফেসবুক থেকে