রায়হান রাজীব : [২] বুধবার এক বিবৃতিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশাল বাংলাদেশ জানায়, বিদ্যুৎ বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, দেশের বিদ্যুৎ সক্ষমতার একটি বড় অংশ বর্তমানে অলস বসে থাকায় ২০২০ সালের এপ্রিল-জুন পর্যন্ত এ খাতে মোট ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হবে।
[৩] সম্প্রতি লন্ডনভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনোমিকস ফাইনান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের (আইইইএফএ) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাহিদার চেয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র বেশি স্থাপন করায় সরকারকে ৫৭ শতাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র অলস বসিয়ে রাখতে হচ্ছে।
[৪] কোভিড-১৯ পরিস্থিতি দীর্ঘ হলে অব্যবহৃত বিদ্যুৎ সক্ষমতার অপচয়বাবদ এপ্রিল-ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ ৩৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকায় দাঁড়াবে। এঅবস্থায় বিদ্যুৎ বিভাগ ইতোমধ্যে সরকারের কাছে ১৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
[৫] সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ করতে হবে, দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ আইন ২০১০ বাতিল করতে হবে এবং পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্লান-২০১৬ নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে।
[৬] তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তির আলোকে সরকার প্রতিশ্রুত ২০৫০ সাল নাগাদ পরিবেশবান্ধব এবং আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী ১০০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিশ্চিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।