শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ১৩ মে, ২০২০, ০৮:৩২ সকাল
আপডেট : ১৩ মে, ২০২০, ০৮:৩২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঋণগ্রস্ত ও পাওনাদারের যাকাত

ডেস্ক নিউজ : কারও ঋণ যদি এত পরিমাণ হয় যে, তা বাদ দিলে তার কাছে নেসাব পরিমাণ জাকাতযোগ্য সম্পদ থাকে না, তাহলে তার ওপর জাকাত ফরজ নয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, এই মাসয়ালাটি সব ঋণের ক্ষেত্রে নয়।

কারণ ঋণ দুই ধরনের হয়ে থাকে। ক. প্রয়োজনাদি পূরণের জন্য বাধ্য হয়ে নেওয়া ঋণ, খ. ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে নেওয়া ঋণ। সূত্র: আওয়ার ইসলাম

প্রথম প্রকারের ঋণ সম্পদ থেকে বাদ দিয়ে জাকাতের নেসাব বাকি থাকে কিনা তার হিসাব করতে হবে। নেসাব থাকলে জাকাত ফরজ হবে, অন্যথায় নয়। কিন্তু যে সব ঋণ উন্নয়নের জন্য নেওয়া হয়, যেমন কারখানা বানানো, কিংবা ভাড়া দেওয়া বা বিক্রি করার উদ্দেশ্যে বিল্ডিং বানানো অথবা ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ঋণ নিলে জাকাতের হিসাবের সময় সে ঋণ ধর্তব্য হবে না। অর্থাৎ এ ধরনের ঋণের কারণে জাকাত কম দেওয়া যাবে না।

বিয়ে-শাদিতে মোহরানার যে অংশ বাকি থাকে তা স্বামীর কাছে স্ত্রীর পাওনা। কিন্তু এই পাওনা স্বামীর ওপর জাকাত ফরজ হওয়া না হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলে না। অর্থাৎ জাকাতযোগ্য সম্পদের হিসাবের সময় এই ঋণ বাদ দেওয়া যাবে না; বরং সমুদয় সম্পদের জাকাত দিতে হবে।

উল্লেখ্য, বিনা প্রয়োজনে মোহরানা আদায়ে বিলম্ব করা অত্যন্ত নিন্দনীয়।

অন্যকে যে টাকা কর্জ হিসেবে দেওয়া হয়েছে বা ব্যবসায়ী কোনো পণ্য বাকিতে বিক্রয় করেছে, এই পাওনা টাকা পৃথকভাবে বা অন্য জাকাতযোগ্য সম্পদের সঙ্গে মিলিতভাবে নেসাব পূর্ণ করলে তারও জাকাত দিতে হবে।

পাওনা উসুল হওয়ার পর ওই টাকার জাকাত আদায় করা ফরজ হয়। তার আগে আদায় করা জরুরি নয়, তবে আদায় করলে জাকাত আদায় হয়ে যাবে। উপর্যুক্ত ক্ষেত্রে পাওনা উসুল হতে যদি কয়েক বছর সময় অতিবাহিত হয়ে যায় তাহলে উসুল হওয়ার পর বিগত সকল বছরের জাকাত আদায় করা ফরজ হয়।

স্বামীর কাছে পাওনা মোহরানা নেসাব পরিমাণ হলেও তা স্ত্রীর হস্তগত হওয়ার আগ পর্যন্ত তাতে জাকাত ফরজ হয় না। হস্তগত হওয়ার পর যদি আগে থেকেই ওই মহিলার কাছে জাকাতযোগ্য সম্পদ নেসাব পরিমাণ না থাকে তাহলে এখন থেকে বছর গণনা শুরু হবে এবং বছর পূর্ণ হওয়ার পর জাকাত আদায় করতে হবে। আর যদি স্ত্রী মোহরানা পাওয়ার আগ থেকেই নেসাব পরিমাণ অর্থ বা সম্পদের মালিক থেকে থাকে তাহলে এই সদ্যপ্রাপ্ত মোহরানা অন্যান্য টাকা-পয়সা বা সম্পদের সঙ্গে যোগ হবে এবং সে সব পুরানো সম্পদের বছর পূর্ণ হওয়ার পর সমুদয় সম্পদের জাকাত দিতে হবে। সম্পাদনা: জেরিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়