আশরাফ আহমেদ, হোসেনপুর প্রতিনিধি : [২] এই চলতি রবি মৌসুমে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের বিধৌত বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে বাদামের ব্যাপক আবাদ হয়। এতে বাদামের বাম্পার ফলনও হয়েছে । উৎপাদিত বাদাম ভালো দামে বিক্রি করতে পেরে বেজায় খুশি উপজেলার স্থানীয় বাদাম চাষীরা।
[৩] কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরাঞ্চলে এবছর বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ হেক্টর জমিতে। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হেক্টর বেশি জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে।
[৪] সরেজমিনে উপজেলার জিনারি, চর হাজীপুর, চরকাটিহারী, সাহেবের চর, চরজামাইলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার শাখা নদীর আশপাশের চরাঞ্চলের অনাবাদি জমিতে বাদামের ব্যাপক চাষ করা হয়।
[৫] তবে হাট বাজারে গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩০০ টাকা বেশি দরে প্রতি মন বাদাম কেনাবেচা হচ্ছে। ভালো মানের চিনাবাদাম ৩১০০টাকা থেকে ৩২০০ টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে।
[৫] উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের চরকাটিহারি গ্রামের ফকির বাড়ির বাদাম চাষী ছন্দু মিয়া জানান, এবছর ১ একর জমিতে বাদাম রোপণ করেছিলাম। খেতে ভালো ফলন ও অধিক দামে বিক্রি করে অধিক মুনাফা অর্জন করতে পেরেছি।চর জিনারী গ্রামের বাদাম চাষী সুরুজ মিয়া জানান, বাদাম চাষে অন্যান্য ফসলের তুলনায় খরচ খুব কম। কিন্তু বাদামের দাম থাকে বেশি এই আশায় বাদাম চাষ করেছি। সিদলা ইউনিয়নের সাহেবের চর গ্রামের বাদাম চাষী রেনু মিয়া জানান, পতিত অনাবাদি জমিতে বাদাম চাষ করেছিলাম। ফলে কম খরচে অধিক মুনাফা পেয়েছি।
[৬] এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর উপজেলায় বাদামের বেশি চাষাবাদ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় উপজেলায় বাদামের অধিক ফলন ও হয়েছে বলে জানান তিনি। সম্পাদনা: ইস্রাফিল হাওলাদার
আপনার মতামত লিখুন :