সুজন কৈরী : [২] কারা অধিদপ্তরের এআইজি (অ্যাডমিন) মঞ্জুর হোসেন শুক্রবার বলেন, কারারক্ষীদের মধ্যে ২১জন কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের স্টাফ। তাদের মধ্যে ২ জন জিঞ্জিরার ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, ১০ জন মিরপুর ম্যাটার্নিটি এবং ৯ জন মুগদা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা বন্দিদের আনা-নেয়াসহ ঢামেক ও বিএসএমএমইউ ও বক্ষব্যাধিসহ বিভিন্ন হাসপাতালে দায়িত্বরত ছিলেন। পুরান ঢাকার পুরাতন কারাগারের ব্যারাকে থাকেন। অপর কারারক্ষী রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের স্টাফ। তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
[৪] এছাড়া কেরাণীগঞ্জ কারাগারের বিনাশ্রম দণ্ডপ্রাপ্ত একজন বন্দী করেনা পজেটিভ হয়েছেন। তাকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি গত ২৯ মার্চ থেকে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এছাড়া পঞ্চগড় কারাগারের বিচারাধীন একজন বন্দী করোনা পজেটিভ হয়েছেন। তিনি রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। তার করোনা পরীক্ষার প্রথম রিপোর্টে পজেটিভ এসেছে। তবে এটি নিয়ে সন্দেহ থাকায় এবং আরও নিশ্চিত হতে তার দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করা হচ্ছে।
[৫] এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন অফিস থেকে ওই জেলা কারাগারে সংযুক্ত হয়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসক করোনা পজেটিভ হয়ে হোম আইসোলেশনে আছেন।
[৬] মঞ্জুর হোসেন আরো জানান, করোনা উপসর্গ দেখা দেয়ায় অতিরিক্ত সতর্কতার অংশ হিসেবে ৯৩ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩৬ জন কারারক্ষী ও ১৪ জন বন্দি, সিলেট বিভাগে ১ জন কারারক্ষী ও ১ জন হিসাবরক্ষক এবং চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ জন কারারক্ষী ও ২২ জন বন্দী, বরিশাল বিভাগে ১ জন কারারক্ষী ও রংপুর বিভাগে ৮ জন রয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :