আক্তারুজ্জামান : [২] সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে ৫ ওয়াক্ত এবং তারাবির নামাজ মসজিদে পড়ার অনুমতি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বুধবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
[৩] আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) জোহরের ওয়াক্ত থেকে দেশের সব মসজিদে এ নির্দেশ কার্যকর হবে। নিয়ম মেনে প্রতি মসজিদে সর্বোচ্চ ৫ জন এতেকাফেও বসতে পারবেন।
[৪] মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সাখাওয়াৎ হোসেন সাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম ওলামাগণ রমজানের গুরুত্ব অনুসারে মসজিদ ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিলেন সরকারের কাছে। সরকার সেদিক বিবেচনা করে জামাতে নামাজ আদায়ের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে।
[৫] ওই বিজ্ঞপ্তিতে ১২টি শর্ত দেয়া হয়েছে। শর্তগুলো হলো-
১. মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। প্রতি ওয়াক্তে নামাজ শুরুর পূর্বে জীবাণূনাশক স্প্রে করতে হবে। মুসল্লীগণ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।
২, মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড-স্যানিটাইজার বা সাবান রাখতে হবে। সেই সঙ্গে অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে।
৩, নিজ বাসা থেকে অজু করে আসতে হবে, সেই সঙ্গে সুন্নাত নামাজও পড়ে আসতে হবে। মসজিদে শুধু ফরজ ও জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
৪, জামাতে দাড়ানোর সময় তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৫, এক কাতার অন্তর এক কাতার করতে হবে।
৬, শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিতরা মসজিদে আসবেন না।
৭, মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ বা টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৮, জনসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্যে স্বাস্থ্য বিভাগ, স্থানীয় প্রশানস ও আইনশৃঙ্ক্ষলা বাহিনীর নির্দেশ অনুসরণ করতে হবে।
৯, মসজিদে ইফতার বা সেহরির আয়োজন করা যাবে না।
১০, উল্লেখিত শর্ত মেনে সর্বোচ্চ ৫ জন এতেকাফেও বসতে পারবেন।
১১, করোনা মহামারী রোধে প্রতি ওয়াক্তের নামাজ শেষে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করবেন ইমামগন।
১২, খতিব, ইমাম ও মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো পুরোপুরি নিশ্চিত এবং দেখভাল করবেন।
[৬] উল্লেখ্য যে, করোনাভাইরাস রোধে সামাজিক সংক্রমণ এড়াতে গত ২৩ মার্চ থেকে মসজিদে সীমিত আকারে জামাতে নামাজ পড়ার ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিলো। সেদিন থেকে প্রতি মসজিদে ৫ জন এবং জুমার নামাজে ১০জন করে জামাত করতেন।
আপনার মতামত লিখুন :