মহসীন কবির : [২] করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই ধাপে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়ায়। এখনই কঠোর পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ডিবিসি ও চ্যানেল২৪
[৩] আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, ‘আমরা করোনার চতুর্থ পর্যায়ে আছি। এটাকে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বলে। আমাদের দেশেও হয়তো মে মাসের শেষের দিকে বা মাঝামাঝি সময়ে একটা সংক্রমণ সংখ্যা বাড়তেও পারে যদি আমরা নিয়ম-কানুনগুলা না মানি।’
[৪] মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রিদওয়ানউর রহমান বলেন, ‘লকডাউন, টেস্ট, ট্রেস দি কন্ট্রাকস, আইসোলেট, কোয়ারেন্টিন এটা হচ্ছে আমার করার কথা ছিল আমরা কিছুই করতে পারিনি। লকডাউন ইন এপ্রোপিয়েট, টেস্ট নাইয়ের মত, ট্রেস নাই, কোয়ারেন্টিন, আইসোলেট নাই যা হবার তাই হবে।’
[৫] তিনি বলেন, ‘আমরা এখন উপরের দিকে উঠছি, উঠতে উঠতে কোথায় যাব নো বডি ক্যান ছে। যেহেতু আমরা ধরে রাখছি তাই সময় লাগছে। দুই মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে যদি ওই পদ্ধতিতেই যাই তখন কিন্তু হাজার হাজার মৃত্যু হবে। হাজার হাজার মৃত্যু যদি আমরা একসেপ্ট করতে চাই সব খুলে দেন।’
[৬] দেশে করোনা সংক্রমণের ৫৩তম দিনে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৬৬৭ জন। আর মারা গেছেন ১৬৮ জন। একই সময় পর যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২শ ৪৮ জন। আর মারা যায় ৩৮ জন। ৫৩তম দিনে বাংলাদেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা ছিল খুবই আশাব্যঞ্জক।
[৭] তবে দেরিতে লকডাউন আর সামাজিক দূরত্ব না মানায় যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয় কমিউনিটি ট্রান্সমিশন। ঠিক এক মাসের ব্যবধানে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪ লাখ ৬০ হাজার ২৫২ জন। আর মৃতের সংখ্যা ২২ হাজার ৩৮ জন।
আপনার মতামত লিখুন :