সুজন কৈরী : [২] মৌলভীবাজারে হতদরিদ্র-কর্মহীন পরিবার যারা এখনো ত্রাণ পাননি, গোয়েন্দা পুলিশের তথ্যে তাদের খুঁজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ দিচ্ছে পুলিশ। অপ্রত্যাশিত ভাবে পুলিশের ত্রাণ পেয়ে মুখে হাসি আর দোয়া ও বুকভরা ভালোবাসা জানাচ্ছেন অর্ধাহারে অনাহারে থাকা পরিবার।
[৩] করোনা পরিস্থিতিতে জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদের নির্দেশে এমন ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে থাকতে উদ্ধুদ্ধ করছেন পুলিশ সদস্যরা।
[৪] পুলিশ জানায়, করোনা প্রতিরোধে মৌলভীবাজার জেলা লকডাউন ঘোষণার পনেরো দিন পেরিয়ে গেছে। হত দরিদ্র, দিন মজুর আর কর্মক্ষেত্র মৌলভীবাজার। তবে অন্য জেলার ভোটার এমন অনেক মানুষ ঘর থেকে বের হতে না পেরে কষ্টে দিনযাপন করছেন। সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। তারপরও কিছু মানুষ ত্রাণের তালিকা থেকে বাদ পড়ছেন।
[৫] মৌলভীবাজার প্রত্যন্ত এলাকায় জেলা পুলিশের উদ্যোগে প্রতি দিন রাতে ৪০ থেকে ৫০টি কর্মহীন-অতি দরিদ্র পরিবারের বাড়িতে ত্রাণের প্যাকেট পৌঁছে দিচ্ছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মডেল থানার ওসি ও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।
[৬] মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ভয় নয় সবাই মিলে করোনাকে করবো জয় এ গান নিয়ে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে করোনা প্রতিরোধে কাজ করছে জেলা পুলিশ। আর বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে অন্যতম একটি কাজ যারা এখনো ত্রাণ পাননি গোয়েন্দা পুলিশের তথ্যে তালিকা করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।
[৭] এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জনগণকে ঘরে থাকার আহবান জানানোনহ সারাদেশের মতো মৌলভীবাজারেও ঝুঁকি নিয়ে মাঠে কাজ করছেন পুলিশ সদস্যরা। সম্পাদনা : রাশিদ