শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ২৮ এপ্রিল, ২০২০, ০৭:৫৯ সকাল
আপডেট : ২৮ এপ্রিল, ২০২০, ০৭:৫৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মানবজাতির এ সংকট কি অপ্রত্যাশিত ছিলো?

সামসুল ইসলাম : প্রায় দেড় মাস হতে চলছে বাসায় বসে আছি। ঢাকার করোনাভাইরাসের অন্যতম হটস্পট হিসেবে পরিচিত মিরপুরে আতঙ্কের মধ্যেই আছি। আশেপাশে করোনা রোগী। তাই রাস্তায় বের হওয়াটাও বিপজ্জনক মনে হয়। মেয়েরা বোরড হয়ে যাচ্ছে। বাসায় ঝামেলা করছে। ফ্ল্যাটে আর কতোদিন বন্দি থাকা যায়। আবার বাজার বা ঔষুধ কেনা বন্ধ নেই। কেউ হয়তো কিনে দিয়ে যায়। কিন্তু সেটাও তো বিপজ্জনক। ভাগ্য খারাপ হলে সেখান থেকেও কোনো ড্রপলেট শরীরে ঢুকতে পারে। কিন্তু এ অবস্থা কতোদিন? এ রোগের ওষুধ নাই। ভ্যাকসিন হতে সময় লাগবে। বছর দুই লাগতে পারে সবাই পেতে। তাও সবার শরীরে কার্যকর হবে কিনা তা ঠিক নেই।

বাসায় থেকে সবাই সাইকোসোমাটিক ডিসঅর্ডার বা মনোদৈহিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছি। এ অবস্থা বেশিদিন চললে আর করোনা দরকার হবে না, মানুষ এমনিতেই মরা শুরু করবে। চিন্তা করছিলাম যে মানবজাতির এ সংকট কি অপ্রত্যাশিত ছিলো? গত ১০০ বছরে সভ্যতা আমাদের কি দিয়েছে? দুটো বিশ্বযুদ্ধ, অসংখ্য যুদ্ধ, মৃত্যু, ভয়াবহ মরণাস্ত্র, সম্পদের বৈষম্য, চিকিৎসার নামে ব্যবসা ইত্যাদি। আমার কাছে প্রায়শই মনে হতো এই তথাকথিত সভ্যতার হয়ত খুব দ্রুতই পরিসমাপ্তি আছে। কিছু একটা ঘটবে। সেটা হতে পারে ভূমিকম্প বা বিশ্বযুদ্ধ বা অন্য কিছু।

সেক্যুলার মহলে আধ্যাত্মিকতার কথা বলা মানে নিজেকে হাস্যস্পদ করা। তবুও নিজের গরজ থেকে প্রাচ্যের মূল্যবোধ বা ধর্মের কথা মাঝেমাঝে লিখতাম। কিন্ত এগুলো কে আর শুনে বা পড়ে। পশ্চিমা শিক্ষাব্যবস্থা, তাদের বস্তুবাদী দর্শন দেশে দেশে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট করেছে। সমসাময়িক তাদের দার্শনিক, চিন্তাবিদ, লেখক যেমন পিটার সিঙ্গার, হারারি ইত্যাদির লেখা বা তাদের জীবনযাপন প্রণালী পড়লে আমি অবাকই হই। তারা মানব জাতিকে পথ দেখাবেন? করোনাভাইরাসের আক্রমণের পরে আমার মনে হচ্ছিলো মানুষ বোধ হয় আধ্যাত্মিকতায় ফিরে যাবে। মানবস্বভাব বা প্রকৃতিবিরুদ্ধ জীবন যাপন থেকে মুক্তির উপায় খুঁজবে। কিন্তু না। এতো বিপদে থেকেও তথাকথিত বিনোদনের চাহিদা মানুষের মিটেনি। আমাদের দেশেও মিডিয়া বিভিন্ন নায়ক, নায়িকা, মডেলকে আদর্শ মেনে তারা কীভাবে কোয়ারেন্টাইনে জীবনযাপন করছে, তার ছবি দেখাচ্ছে। তাদের চিন্তাভাবনা জীবন দর্শনকে সংক্রামিত করছে আতঙ্কিত, সাধারণ মানুষের মাঝে। অথচ আমরা খুঁজতে পারতাম এ সংকট এর আধ্যাত্মিক উত্তর।

কিন্তু আমরা মিডিয়ায় দেখছি স্বল্প পোশাকে বাসায় নায়ক, নায়িকাদের ছবি। জানছি যে সানি লিওনের বিয়ে পিছিয়েছে বা বলিউডের ভাইজান সালমান খান তিনজন নায়িকা নিয়ে কোনো ফার্ম হাউসে দিন কাটাচ্ছেন। দুঃখও হয় আফসোসও হয়। এ পরিবেশে নীতি নৈতিকতা আর ধর্মের কথা বলা মাঝে মাঝে অশ্লীলতাই মনে হয়। লিখতেও ইচ্ছে করে না। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়