ডেস্ক রিপোর্ট : [২] জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি রিসালদার মোসলেম উদ্দিন খান ভারতে অবস্থান করছেন বলে গোয়েন্দাদের হাতে তথ্য এসেছে। রাইজিং বিডি, বাংলা ইনসাইডার, বাংলাদেশ জার্নাল
[৩] বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কয়েক বছর পর থেকে মোসলেম উদ্দিন ভারতে অবস্থান করছেন। এখান থেকেই তিনি কয়েকটি দেশেও যাতায়াত করতেন। এমনকি কয়েক বছর আগে তিনি বাংলাদেশেও এসেছিলেন।
[৪] প্রাপ্ত তথ্য মতে, পশ্চিমবঙ্গের গোবরডাঙ্গার ঠাকুরনগর এলাকায় তার স্থায়ী বসবাসের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে তিনি আয়ুর্বেদ ও হোমিও চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কয়েকদিন আগে ফাঁসি কার্যকর হওয়া বঙ্গবন্ধুর অপর খুনি আবদুল মাজেদের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ হতো বলেও জানা গেছে।
[৫] ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর মোসলেমউদ্দিন তেহরান ও জেদ্দা দূতাবাসে দায়িত্ব পালন করেন। তখন দেশে তিনি দুই-একবার আসেন বলেও জানা গেছে। তবে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি প্রথমে থাইল্যান্ড, পরে পাকিস্তানে চলে যান। এরপর জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। কয়েক বছর পর যান ভারতে। সেখানে উত্তর চব্বিশ পরগনার ঠাকুরনগর এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
[৬] এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিশ্বস্ত সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, ২০১৬ সালে মোসলেমউদ্দিন জার্মানিতে থাকার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। এরপর আবদুল মাজেদ এবং মোসলেমউদ্দিনের ভারতে থাকার মোটামুটি নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়। তখন এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে চিঠিও দেয়া হয়।
[৭] জাতির পিতার খুনিদের মধ্যে ছয়জন দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। খন্দকার আবদুর রশিদ, এ এম রাশেদ চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, আবদুল মাজেদ ও রিসালদার মোসলেমউদ্দিন খান। ২০০৯ সালে পলাতক এই ছয়জনের বিষয়ে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করে।
ওয়াইএ/এসবি