মানবজমিন : [২] ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তের মধ্যে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আটকা পড়া মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। তবে আলোচনাগুলোয় কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি দুই দেশ। এমতাবস্থায় ওই নারীর ভাগ্য নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বৈঠকে সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে এমনটা বলা হয়েছে।
[৩] ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- বিজিবি জানিয়েছে, গত ২রা এপ্রিল খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় সীমান্তে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাবরুম মহকুমাধীন এলাকা থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও কতিপয় জনসাধারণ ওই নারীকে ফেনী নদী পার করে বাংলাদেশে পুশইনের চেষ্টা করে। এ খবর পেয়ে তাতে বাধা দেয় বিজিবি। এরপর থেকে ওই নারী সেখানেই আটকা রয়েছেন। তবে তাকে নিয়মিত খাবার দিয়ে সহায়তা করছে সীমান্তবর্তী উপজেলা রামগড়ের কয়েকজন বাংলাদেশি যুবক।
[৪] এদিকে, তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে নিয়মিত বৈঠক করে যাচ্ছে বিজিবি ও বিএসএফ। তবে বৈঠকগুলো এখন পর্যন্ত ফলপ্রসূ হয়নি।
[৫] দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবপ্রিয় বর্ধন জানান, এই নারীর কাছে কোনো কাগজপত্র ছিল না, যার মাধ্যমে তিনি ভারতীয় এটা প্রমাণ হয়। তিনি আরো বলেন, ওই নারীর কথা বলার ধরণ বাংলাদেশিদের মতো। এছাড়া, তিনি যত জায়গা চেনেন, তার সবগুলোই বাংলাদেশে অবস্থিত।