ডেস্ক রিপোর্ট : [২] করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সারা দেশের মতো মৌলভীবাজারেও বন্ধ রয়েছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। যার ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। এই মানুষদের বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করতে সরকার, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এগিয়ে এলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নেই জনগণের পাশে। দরিদ্রদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের মতো কার্যক্রমে নেই অধিকাংশ এমপি। জনপ্রতিনিধিদের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। তিনি এলাকার জনপ্রতিনিধি। একসময়ের ডাকসাইটে ছাত্রনেতা। সুনাম সিলেটের গণ্ডি ছাড়িয়ে জাতীয় পর্যায়ে। এই জনপ্রতিনিধির হাত ধরেই সিলেটসহ সারাদেশ তৈরি হয়েছে হাজারো নেতা-কর্মী। সুখ্যাতি ছিলো ত্যাগী এব স্বজ্জন নেতা হিসেবেও। সেই জনপ্রতিনিধির একজন ভোটার এলাকা থেকে খোঁজ করলেন নেতার। তিনি একজন সংসদ সদস্য।
তিনি হলেন সাবেক ভিপি সুলতান মনসুর। সূত্র- জাগোনিউজ, সিলেট প্রতিদিন
[৩]ভোটার এবং জনপ্রতিনিধির কতোপকথন থেকে যা শোনা গেলো-তাতেই আক্কেলগুরুম। ভাষা নেই কিছু বলার। বাকরুদ্ধ হওয়া মতো সেই কতোপকথন তুলে ধরা হলো পাঠকদের স্বার্থে। (একজন জনপ্রতিনিধির কল রেকর্ড থেকে নেওয়া, (তিনি কে জানতে চাইয়া লজ্জা দেবেন না, তবে একটু মাথা খাটালেই বুঝে যাবেন আশা করি।)
মৌলভীবাজার ২ (কুলাউড়া ও কমলগঞ্জের একাংশ) আসনের এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদের একটি ফোনালাপ মঙ্গলবার ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
নির্বাচনী কর্মী : ভাই এলাকায় আসবেন কি না?
সুলতান মনসুর : এসে কি করবো? তোমার বোন বিয়ে করবো, নাকি আমার বোন বিয়ে দিবো?
নির্বাচনী কর্মী : না, সেরকম কিছু না। আমাদের কিছু অনুদান দিতেন, আমরা বড় বিপদে পড়ছি। কাজ নাই, ঘরে খাবার নাই।
সুলতান মনসুর
: আমি কি মক্কা থেকে খাবার এনে দিবো? আমার পকেট থেকে দিবো? মেম্বার, চেয়াম্যানরে বলো।
নির্বাচনী কর্মী : না মানে, উনারা তো যতটুকু পারছেন সহযোগীতা করছেন, আপনি আসলে আমাদের জন্য আরও উপকার হতো।
সুলতান মনসুর
মেম্বার, চেয়ারম্যান কি তাদের বাপের অনুদান দিচ্ছে? কি আবুল তাবুল বকছো? এই সময় ঘরে থাকাই কাজ, ঘরে থাকো।
নির্বাচনী কর্মী : ঘরে তো থাকছি। কিন্তু খাবার জুটছে না। এভাবে চললে, না খেয়ে মরতে হবে। আপনি এলাকায় এসে আমাদের জন্য কিছু করেন।
সুলতান মনসুর
: ঘরে থেকে না খেয়ে মরবে কেন? গলায় দড়ি দিয়া হাওরের পানিতে গিয়া মরো। যত্তসব, শেখ হাসিনা, এমপি কি ঘরে খাবার নিয়ে যাবে নাকি? ফোন রাখো, ফোন রাখো।
সুলতান মনসুর
: হ্যা, হ্যা, হ্যা শেখ হাসিনা আমরা বানাইছি, এমপি আমরা বানাইছি, চেয়ারম্যান, মেম্বার আমরা বানাইছি। আমাদের খেয়াল করার জন্য। আমাদের জনগনের মুখে খাবার তুলে দেয়ার জন্য।
এমন সময় ফোন কলটি কেটে যায়।
এ ব্যাপারে সুলতান মনসুরের বক্তব্য জানতে চাইলে একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘ ‘আমি এ সবের কিছুই জানিনা’ ।
আপনার মতামত লিখুন :