এম এ হালিম, সাভার প্রতিনিধি : [২] করোনা ভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক মহাদুর্যোগ ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় সামান্য জ্বর, সর্দি, কাশি হলেও কোনো এ্যাম্বুলেন্স বহন করছে না, হাসপাতাল দিচ্ছেনা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা। এমনকি করোনা রোগী সন্দেহে মৃত্যু হলে গোসল, জানাজা ও দাফন করা নিয়ে সৃষ্টি হচ্ছে জটিলতা।
[৩] এ অবস্থায় সাভার উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও সাধারণ রোগিদের জন্য ৬ কবরস্থান ও দুটি এ্যাম্বুলেন্সকে প্রস্তুত করে রেখেছেন।
[৪] সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব জানান, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি এ্যাম্বুলেন্সের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। ওইসব এ্যাম্বুলেন্স করোনা রোগী বা করোনা হয়েছে এমন সন্দেহভাজন রোগীদের বহন করবে। এছাড়া করোনায় কারো মৃত্যু হলে দাফনের জন্য ৬টি কবরস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে।
[৫] সাভার পৌর এলাকার তালবাগ কবরস্থান, পাথালিয়ার দুটি, আশুলিয়ার একটি, তেঁতুলঝোড়ার একটি ও সাভার সদর ইউনিয়নের একটি কবরস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সাভার উপজেলা পরিষদ থেকে করোনা ভাইরাসে বাড়তি প্রস্তুতির জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে মৃত ব্যক্তির গোসল, জানাজা ও দাফনের জন্য সেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ম্যান ফর ম্যান’ প্রস্তুত ও নগদ টাকা, বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
[৬] এদিকে গত ২৪ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত সাভার উপজেলায় ১২৫ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এর মধ্যে গত দুই সপ্তাহে ৮৫ জনকে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে।
[৭] এছাড়া আমাদের আইসোলেশন কক্ষ এবং প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত লোক রয়েছে এবং করোনা সন্দেহে কোন রোগী আসলে তাদেরকে আইসোলেশনে ভর্তি করে নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষার জন্য পাঠাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা। সম্পাদনা:ইস্রাফিল হাওলাদার