ডেস্ক রিপোর্ট : [২] সরকারি নির্দেশ অমান্য করে জমায়েতের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর অভিযোগে বিশ্ব তাবলিগ জামাতের অন্যতম মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্দলভি ও নিজামুদ্দিন মারকাজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতের পুলিশ প্রশাসন।
[৩] ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে দিল্লির নিজামুদ্দিন মার্কাজে তাবলিগ জামাতের বড়ো জমায়েত হয়েছিল। সেখানে বহু বিদেশি মেহমান ছিলেন বলে জানা গেছে। সেখান থেকে করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। নিজামুদ্দিনের ঐ মসজিদে যোগ দেওয়ার পর মোট সাত জন মারা গেছেন। এরই মধ্যে মসজিদটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দিল্লি পুলিশ আগেই নোটিশ দিয়েছিল সাদকে। তবে গত ২৮ মার্চ থেকেই তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে ধরতে অভিযান চলছে। এফআইআরে আর যাদের নাম রয়েছে—ড. জিশান, মুফতি শেহজাদ, এম সাইফি, ইউনুস, মোহাম্মদ সালমান, মোহাম্মদ আশরাফ।
[৪] ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টিভি নিউজের খবরে বলা হয়—ঐ জামাত থেকে ফিরে দিল্লিতে ২৪ জন, তেলেঙ্গানায় ছয় জন, আন্দামানে ১০ জন, কাশ্মীরে এক জন ও তামিলনাড়ুতে ৫০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ঐ জামাতে ৮২৪ জন বিদেশি ছিলেন। এরমধ্যে ৯ জন বাংলাদেশিও ছিলেন।
[৫] এদিকে ভারতীয় মুসলমানদের সর্ববৃহত্ সামাজিক সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের প্রধান মাওলানা আরশাদ মাদানি এক বিবৃতিতে বলেন, নিজামুদ্দিন মারকাজকে কেন্দ্র করে নেতিবাচক প্রচার চলছে। যখন পুরো দেশই নয় বরং গোটা বিশ্ব করোনা ভাইরাসের মতো ধ্বংসাত্মক ব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তখন এই লড়াইকে মুসলিমবিরোধী রূপ দেওয়া অত্যন্ত হতাশাজনক এবং নিন্দনীয় বিষয়।