মুসফিরাহ হাবীব: [২] করোনার ত্রাসে বিশ্ব যখন আতঙ্কিত, ঠিক তখনই কিছু বাসিন্দার কুরুচিকর মন্তব্যের শিকার হলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। 'হাফপ্যান্ট পরে রাস্তায় কুকুরদের খাওয়াতে গিয়ে প্রতিবেশীদের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন তিনি। এমনকী পুলিশের দ্বারস্থও হয়েছেন তার প্রতিবেশীরা।
[৩] লকডাউনের সময় এমনিতেই মানুষের ভাঁড়ারে টান পড়েছে। রেস্তরাঁ বন্ধ। খোলা নেই রাস্তার হোটেল। রাস্তার কুকুরেরা খাবে কী? একারণেই ২৩টি কুকুরের খাওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলেন শ্রীলেখা। নিজে নুডলস খেয়েছেন। প্রাতঃরাশ খাননি। কিন্তু খাইয়েছেন কুকুরগুলোকে। কলকাতায় মতিলাল গুপ্ত রোডের এক আবাসনে যেখানে শ্রীলেখা থাকেন সেখানেই তিনি এ কুকুরগুলোকে খাওয়া দেন। আর তা করতে গিয়েই এ বেজায় বিপাকে পড়েছেন তিনি।
[৪] ওই আবাসনের ফেসিলিটি ম্যানেজার সঞ্জয় নস্কর বলেছেন, ‘‘আমি এখন আবাসনে যেতে পারছি না। তবে নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ থেকে শুনেছি, গতকাল শ্রীলেখা ম্যাডাম রাস্তার কুকুরদের আবাসনের মধ্যে ঢুকিয়ে খাবার খেতে দেন। ওখানকার বাসিন্দারা রাস্তার কুকুরকে আবাসনে ঢুকিয়ে জীবাণু বাড়ার আশঙ্কায় ম্যাডামের এই কাজের বিরোধিতা করেন।’’ গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকেই রাস্তার কুকুরদের খাওয়ানো নিয়ে ওই আবাসনের বাসিন্দাদের সঙ্গে শ্রীলেখার নানা রকম ঝামেলা চলছিল। তার মধ্যে এই করোনা পরিস্থিতিতে ফের তার কুকুর খাওয়ানো আরো বিপত্তি আরো বাড়িয়েছে।
[৫] তবে এখানেই শেষ নয়। শ্রীলেখা মিত্র ভারতীয় গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, গতকাল একটি ফেসবুক ভিডিওর জন্যও তাকে অজস্র কটু মন্তব্য করা হয়েছে। সেই ভিডিওতে অভিনেত্রী হাতে একটি ছুঁরি নিয়ে বলেছিলেন,‘দেখি এবার আমাকে কে বাধা দিতে আসে! বাঁধা দিলে ম্যায় উসকা খুন পি জায়ুঙ্গি…।’ আর তাতেই বাধে গোলমাল। হাতে ছুরি নিয়ে কেন তিনি এরকম বলবেন? প্রশ্ন তুলে আবাসনের বাসিন্দারা পুলিশের দ্বারস্থ হন।
আপনার মতামত লিখুন :