সমীরণ রায় : [২] কিন্তু কতিপয় মহল যেখানে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন সেখানে বিভেদের রাজনীতি করতে চায় বলে মন্তব্য করলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সারা বিশ্ব অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবসের আগে বুধবার এ সংকট উত্তরণের জন্য দিক-নির্দেশনা দিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। এখানের দিক-নির্দেশনাগুলো ছিল নির্মোহ, নির্মেদ ও আশা জাগানিয়া। তিনি অবাস্তব ও কল্পনাপ্রসূত প্রতিশ্রুতি দেননি। তিনি বাস্তবতার নিরিখে করোনা ভাইরাসের সংকট মোকাবেলার রূপরেখা ও কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেছেন।
[৩] তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘বাঙালি বীরের জাতি, নানা দুর্যোগ-সংকটে সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করেছে। ১৯৭১ সালে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করে বিজয়ী হয়েছি। করোনা ভাইরাস মোকাবেলাও একটা যুদ্ধ। এ যুদ্ধে প্রধান দায়িত্ব ঘরে থাকা। সবার প্রচেষ্টায় এ যুদ্ধে জয়ী হব। ঘরে বসেই করোনার বিরুদ্ধে দুর্গ গড়ে তুলুন।’ করোনা সংকট মোকাবেলায় বিদেশ ফেরত যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা, কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা, হাসপাতাল প্রস্তুত ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহে সরকারের কার্যক্রম তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী।
[৪] কাদের বলেন, করোনা সংকট সমাধানে সারা বিশ্ব হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা করোনা ভাইরাস মোকাবেলাকে যুদ্ধ ঘোষণা করে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে এ সংকট মোকাবেলায় সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন।
[৫] তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী জনগণের একজন হয়েই করোনা সংকট মোকাবেলা করতে চেয়েছেন। তাঁর ভাষণে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের বিনামূল্যে ঘর, ৬ মাসের খাদ্য, নগদ টাকা ও ভিজিডি, ভিজিএফ ও ১০ টাকা কেজি দরে চাল সরবরাহ রাখার কথা বলেছেন। তিনি শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এগুলো আপদকালিন ও স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনা।
[৬] বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।