এএফএম মমতাজুর রহমান, বগুড়া প্রতিনিধি: [২] আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের তিয়রপাড়া মহল্লায় গরুর ধান গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে এক প্রভাবশালী ব্যক্তির নির্মম নির্যাতনের শিকার গৃহবধু রানী বেগমের শরীরের ক্ষত স্থানের ত্বকে পচন ধরেছে। ক্ষতের অসহ্য যন্ত্রনা নিয়ে কাতরাচ্ছে হাসপাতালের বিছানায়। থানায় অভিযোগ দেয়ার ৫দিনেও পুলিশ ওই প্রভাবশালীকে আটক বা গ্রেপ্তার করেনি। প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে মোস্তাফিজুর রহমান লাভলু নামের সেই প্রভাবশালী ব্যক্তি।
[৩] জানা গেছে, সান্তাহার শহরের ডাকবাংলো এলাকার বাসিন্দা ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি তিয়রপাড়া মহল্লায় থাকা পুকুরে মাছ এবং জমিতে ধান চাষ করেন। গত শনিবার সকালে ওই মহল্লার দরীদ্র জসিম উদ্দিনের শিশু ছেলে রাসেল তাদের গরুকে ঘাস এবং কচুরিপানা খাওয়ানোর জন্য নিয়ে যায়, সেখানে থাকা খাল পাড়ে। অসাবধানতা বশত গরু লাভলুর চাষ করা ধান ক্ষেতের কয়েক থোপা ধান খায়। এটা দেখতে পেয়ে লাভলু ওই শিশুকে দাবড়িয়ে বেদম মারপিট করতে থাকে। ছেলের চিৎকারে এগিয়ে যায় মা রানী বেগম (৩৬)। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে লাভলু। সে রানী বেগমকে নির্মম ভাবে পিটিয়ে আহত করে।
[৪] পরে পাড়া-প্রতিবেশীরা রানী বেগম কে উদ্ধার করে আদমদীঘি উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সে পরেদিন রোববার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অভিযোগটি আমলে নেয়া হয়েছে কিনা সেটি জানে না নির্যাতিত গৃহবধু রানী বেগম।
[৫] বৃহস্পতিবার উপজেলা হাসপাতালে আলাপ কালে তিনি জানান, শুনেছি গত মঙ্গলবার দেশের বেশ কিছু দৈনিক পত্রিকায় খবর ছাপা হবার পর পুলিশ আমার বাড়িতে গিয়েছিল। কিন্তু হাসপাতালে থাকায় দেখা ও কথা হয়নি। এর পর পুলিশ কি ব্যবস্থা নিল তা জানি না।
[৬] সরেজমিন এলাকাবাসী জানায়, এ রকম সামান্য ঘটনায় ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি ইতিপুর্বে ৫/৬ জনকে নির্যাতন করেছে। পিটিয়ে মেরেছে গবাদী পশু। ওই এলাকার প্রদীপ ভৌমিক, হুমায়ন কবির বাদশা, জাহাঙ্গীর আলম চায়নাসহ অনেকে বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান লাভলু ওই মহল্লার এক দরীদ্র নারী ধর্ষণ মামলায় জেল হাজত থেকে বেরিয়ে আসার পর থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
[৭] এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্য জালাল উদ্দিন জানান, ওই নারী হাসপাতালের ছাড়পত্র নিয়ে অভিযোগ দিয়েছে। সে কারনে অভিযোগটি আমলে নেয়া হয়নি। সম্পাদনা: তিমির চক্রবর্ত্তী