নিজস্ব প্রতিবেদক : [২] বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়কের নেতৃত্ব পেয়ে এখনও অবশ্য একটি ম্যাচও খেলা হয়নি তামিম ইকবালের। তবে অধিনায়কত্বে ফিরে মানুষ ও নিজের নেতিবাচক ধারনাগুলো পাল্টে দিতে চান দেশসেরা এ ওপেনার। অধিনায়কত্বে ফিরলে যে ব্যাটিং খারাপ হয়ে যায়, তা এবার উল্টোটা করে দেখাবেন তামিম।
[৩] সম্প্রতি বাংলা একটি দৈনিককে দেয়া সাক্ষাতকারে তামিম বলেন, ‘আমরা যে কোনো কিছুর শুরুতে নেতিবাচক দিকটাই আগে ভাবি। আপনি চাইলে প্রশ্ন করতে পারতেন, অনেক ব্যাটসম্যানের তো অধিনায়কত্ব নেয়ার পর ব্যাটিং রেকর্ড ভালো হয়েছিল। আমারও ওরকম হবে কিনা... ঠিক না? আমাদের মানসিকতাই এ রকম। সব সময় নেতিবাচক দিকটাই আগে চিন্তা করি। আপনার মতো চিন্তা আমারও। আমরা তো একই সমাজের মানুষ। আগে খারাপটা নিয়ে বেশি চিন্তা করি। আশা করি আমার ক্ষেত্রে উল্টোটা হোক। গত বিশ্বকাপে খারাপ খেলেছিলাম। তখন অধিনায়ক ছিলাম না। আর আমি আগেই বলেছি, দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করতে না পারলে আমি নিজেই সরে আসবো।’
[৪] ২০২৩ বিশ্বকাপের জন্যই তামিম ইকবালকে নিয়োগ দিয়েছে বোর্ড। তবে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রথম আলাপে জানিয়েছিলেন, তাকে সময় দেয়ার জন্য। না পারলে নিজেই সরে যাবেন এটাও পরিষ্কার করে বলেছিলেন তিনি।
[৫] তামিম বলেছিলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমি খুব অভিজ্ঞ অধিনায়ক না। আমি অনেক জায়গায় অধিনায়কত্ব করেছি। আমার প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে আমাকে কিছুটা সময় দিতে হবে। কারণ একটা কথা আসে সাধারণত কেউ অধিনায়কত্ব নিলে ব্যাটিং পারফরম্যান্স খারাপ হয়ে যায়। আমি নিজেও জানি না ছয় মাস পর এক বছর পর কিভাবে আমার পারফরম্যান্স করবো। আমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমাকে কিছুটা সময় নিতে হবে।'
[৬] ‘আপনাদেরও একটু ধৈর্য ধরতে হবে। আমাদের যে দর্শকরা আছে তাদের ধৈর্য ধরতে হবে। দলের জন্য যা যা করা দরকার আমি সেটার চেষ্টা করবো। আমি এটাই চেষ্টা করব যত তাড়াতাড়ি এটা ঠিক হয়ে যায়। যদি ছয় মাসে, এক বছরে বা দেড় বছরে কোনো কিছু ঠিক না হয় বা দলের প্রতি আমি সঠিক কিছু করতে পারছি না, তাহলে আমিই হবো প্রথম ব্যক্তি যে হাত তুলে বলব আমি দুঃখিত।’ আরও বলেছিলেন এই ওপেনার।
আপনার মতামত লিখুন :