সমীরণ রায় : [২] করোনা ভাইরাস আতঙ্কে গোটা বিশ্ব। ঠিক সেই মুহুর্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ১৭ মার্চ। এদিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকলে তা পুণ:বিন্যাস করে কমিটি। এমনকি ঘরোয়া বৈঠক ছাড়া সভা-সমাবেশও বর্জন করেছে আওয়ামী লীগ।
[৩] এদিকে, আওয়ামী লীগসহ স্থানীয় নেতারা রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আলোক সজ্জা ও সাজসজ্জা করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সেজেছে লাল সবুজের আলোতে। একই সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের নানা আলোকচিত্র। বিজয় সরণী এলাকায় তৈরি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিশ্বের আলোচিত ব্যক্তিত্ব বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর বাণী সম্বলিত প্রতীকী ৬০ ফুট উচ্চতার বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য।
[৪] বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন ঘিরে সংসদ ভবন এলাকা সাজানোর কাজ পেয়েছে এশিয়াটিক সোসাইটি। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানটি রেকডিং হয়েছে। সেই অনুষ্ঠান সংসদে স্থাপিত প্রজেকশনের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে যে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিলো তারই কিছু অংশ দেখানো হবে জাতীয় সংসদ চত্বরে জায়েন্ট স্কিনের মাধ্যমে। সেখানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এবং তার ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র দেখানো হবে। এছাড়া সংসদ ভবনসহ তার চারপাশে করা হয়েছে আলোকসজ্জা।
[৫] রাজধানীতে ঘুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ভবন, মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকার সোনালি ব্যাংক ভবন, সচিবালয়, আগারগাঁও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, সেচ ভবনসহ সচিবালয়ের বাইরে অবস্থিত সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনগুলোতেও আলোকসজ্জা দেখা গেছে।
[৬] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানিয়েছেন, জনসমাগম এড়িয়ে সিমীত আকারে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ পালিত হবে। একযোগে অনুষ্ঠানগুলো মিডিয়াতে সম্প্রচার করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :