শিরোনাম
◈ চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে চুক্তির সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ ◈ শ্রীলঙ্কাকে ৬৭ রা‌নে হারা‌লো  জিম্বাবুয়ে  ◈ রায়ের পর হাসিনাকে ফেরত দেয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে ◈ রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি, চার মাসে এলো এক লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা ◈ প্রবাসী ভোটারদের সতর্কতা: ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না দিলে পোস্টাল ভোট বাতিল ◈ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের বিষয়ে যা জানালেন শিশির মনির ◈ বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত অনুমোদন ◈ ১৯ দিনে প্রবাসী আয় ২ বিলিয়ন ডলার ◈ ডাকসু সদস্য রাফিয়ার বাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ, আগুন ◈ জার্মা‌নি‌কে হা‌রি‌য়ে নারী কাবা‌ডি বিশ্বকা‌পের সেমিফাইনালের পথে ভারত

প্রকাশিত : ১২ মার্চ, ২০২০, ০৬:৫৫ সকাল
আপডেট : ১২ মার্চ, ২০২০, ০৬:৫৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্বীকার করতে বাধা নেই মুজিববর্ষ, করোনা, নরেন্দ্র মোদীর সফরের ব্যাপারটি বিচক্ষণতার সঙ্গে মোকাবেলা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সাঈদ তারেক : সরকার এবং সরকারি দলের কিছু নেতা-কর্তার রাজনৈতিক জ্ঞান গরিমা দেখে দুঃখ হয়, করুণাও হয়। শিরোনামগুলো এখনো চোখের সামনে ভাসছে ‘কোনো শক্তিই মোদীর সফর ঠেকাতে পারবে না’ ‘মোদীকে ছাড়া মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান অর্থহীন’ ‘মোদীকে সর্বোচ্চ সম্মাননা দেওয়া হবে’ ‘যারা মোদীর সফরের বিরোধিতা করে তারা স্বাধীনতার শত্রু’ ‘মোদীর সফর নিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাইলে কঠোরহস্তে দমন করা হবে’। এ সবই সরকার এবং সরকারি দলের বড় বড় চাঁইদের সাম্প্রতিক বাণী-বচন। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী মহোদয়া দাওয়াত করেছেন, আর কোনো কথা নেই। বাণী-বচন নির্গত করার আগে এটা বিবেচনায় নিলেন না দেশের মানুষ কি চায়। মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে যখন অন্যান্য বিদেশি মেহামানদের সঙ্গে মিস্টার মোদীকে দাওয়াত করা হয় তখন সিচুয়েশন ছিলো এক। ইতোমধ্যে দিল্লির ঘটনায় মানুষের সেন্টিমেন্ট বদলে যায়। সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে জনসাধারণের আবেগ ইমোশনগুলো প্রকাশিত হতে থাকে। বাম, ডান, মধ্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। হুজুরেরা কোমরবেঁধে মাঠে নামেন। সমগ্র জনগোষ্ঠী যখন একদিকে, তারা সারিন্দায় ধরলেন পাল্টা সুর। সিচুয়েশনটা বুঝতে পারলেন না। ওভাবে কথা বলতে বিবেকেও বাধলো না। বুঝলাম চাকরিÑ অন্যান্য অনেকের মতো চুপও তো থাকা যেতো।

১ মার্চ দেওয়া এক পোস্টে আমি বলেছি, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এখনোই চূড়ান্ত করে বলার কিছু আসেনি। বিষয়টা বাংলাদেশ সরকার এবং মিস্টার মোদী উভয়ের জন্যই বিব্রতকর। আশা করছি উভয়ই একটা সম্মানজনক পথ বের করবেন। বলার অপেক্ষা রাখে না এই সফরটা মিস্টার মোদীর জন্য খুবই দরকার ছিলো। ভারত তো বটেই সারাবিশ্বে যখন তার ইমেজ সংকট তখন মুসলিমপ্রধান বাংলাদেশে গিয়ে বীরের সম্মান নিয়ে আসাটা তার জন্য বিরাট একটা গৌরব হতে পারতো। কিন্তু তাকে এই সম্মান দিতে আমাদের এখানে যে পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা ছিলো তাতে একদিকে যেমন বাংলাদেশ সরকার নিজেই ইমেজ সংকটে পড়ে যেতো সেইসঙ্গে মুজিববর্ষ হারাতো গুরুত্ব। মুখ্য হয়ে যেতেন মিস্টার মোদী। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মহোদয়ার ভূমিকা প্রণিধানযোগ্য। আমি লক্ষ্য রাখছিলাম তিনি কী বলেন। না তিনি চুপ ছিলেন। আমার সন্দেহ হচ্ছিলো তিনি নিজেই চাইছেন কিনা এ সফর বাতিল হোক। ভারতের এনআরসি সিএবি নিয়ে খুশি নন এটা আগেই প্রকাশ করেছেন। কয়েকটা মন্ত্রীর নির্ধারিত সফর বাতিল করিয়েছেন। সর্বশেষ জানা গেলো সফর নিয়ে কথা বলতে স্পিকার যাবেন দিল্লি। শেষ মুহূর্তে সেটাও স্থগিত হয়েছে। হুজুররা মঞ্চ কাঁপাচ্ছেন, মাঠ দাপাচ্ছেন, নানা কর্মসূচি ঘোষণা করছেন অথচ র‌্যাব-পুলিশ পেটাচ্ছে না, গুলি চালাচ্ছে না, তখনই বোঝা যাচ্ছিলো কিছু একটা আছে সামনে। এটা স্বীকার করতে বাধা নেই মুজিববর্ষ, করোনা, মোদীজীর সফর সব কিছু মিলিয়ে খুব বিচক্ষণতার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মহোদয়া সিচুয়েশন ট্যাকল করেছেন। তাকে ধন্যবাদ মানুষের মনের কথা বুঝতে পেরেছেন। সেন্টিমেন্ট ইমোশনের মূল্য দিয়েছেন। মায়া হয় তার অর্বাচীন চাঁইগুলোর জন্য, আপার চেম্বার এতোটাই শূন্য। সারাজীবন চামচাই রয়ে গেলো, নেতা তো দূরের কথা হাতাও হতে পারলো না। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়