লাইজুল ইসলাম : [২] ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন মূল্যায়ন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বলেছে, এই নির্বাচনে যে শান্তির কথা বলা হয়েছে তা আসেনি। একটি পক্ষ সকল ক্ষমতার অধিকারি হওয়ায় অনিয়ম হলেও তার বিরোধীতা কেউ করেনি।
[৩] সুজনের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচিতদের অবস্থা। এতে দেখা গেছে এবার উচ্চশিক্ষিত প্রার্থীরা বেশি নির্বাচিত হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের পরিমান বেড়েছে উত্তর সিটিতে, কমেছে দক্ষিনে।
[৪] ঢাকা উত্তর সিটিতে মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর মিলিয়ে বিজয়ী প্রার্থীদের ৩৪ দশমিক ২৪ শতাংশ উচ্চশিক্ষিত। ২০১৫ সালে এ হার ছিল ১৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এ বছর নির্বাচিতদের ৫৮ দশমিক ৯০ শতাংশ এসএসসি বা তার নিচে। ২০১৫ সালে যা ছিলো ৭০ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
[৫] দক্ষিণ সিটিতে নির্বাচিত ব্যক্তিদের ৬০ দশমিক ৪০ শতাংশ স্বল্প শিক্ষিত। ২০১৫ সালে যা ছিলো ৫১ দশমিক ৩২ শতাংশ। এবার দক্ষিণে বিজয়ীদের ২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ উচ্চশিক্ষিত। ২০১৫ সালে এ হার ছিল ২১ দশমিক ১০ শতাংশ।
[৬] ঢাকা উত্তরে নির্বাচিত ৭৩ জনের মধ্যে ৮৬ দশমিক ৩০ শতাংশ বা ৬৩ জন ব্যবসায়ী। ২০১৫ সালে ব্যবসায়ী নির্বাচিত হয়েছিলেন ৬৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। অন্যদিকে দক্ষিণে নির্বাচিত ১০১ জনের মধ্যে ৭৬ জন বা ৭৫ দশমিক ২৫ শতাংশ ব্যবসায়ী। ২০১৫ সালে দক্ষিণে ব্যবসায়ী জনপ্রতিনিধি ছিলেন ৮০ দশমিক ২৬ শতাংশ। সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্যউপাত্ত তুলে ধরেন।
[৭] সুজনের সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, এই নির্বাচনী পক্রিয়া দেশের জন্য ভয়াবহ। নির্বাচন কমিশন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। তাদের সদিচ্ছারও অভাব ছিলো।
[৮] সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন এই নির্বাচন করতে গিয়ে অগ্নিপরীক্ষা দিয়েছে। তাতে তারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি। জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে পার্থক্য হচ্ছে দৃশ্যমান ও অদৃশ্য কারচুপি। রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে কারচুপির তদন্ত দাবি করে সুজন।
[৯] তিনি বলেন, রাজনীতির ব্যবসায়ীকরণ আর ব্যবসায়ের রাজনীতিকীকরণ চলছে। তাই ব্যবসায়ী জনপ্রতিনিধির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
[১০] দুই সিটি করপোরেশনের ১ ফেব্রæয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন নিয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মূল্যায়ন তুলে ধরা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :