শাহনাজ বেগম : শুক্রবার চীনে এ ভাইরাসে নতুন করে ৩৯৭ জন আক্রান্ত হওয়ায় এ সংখ্যা বেড়ে ৭৬,৭০০ জনে পৌঁছেছে। দেশটিতে এক দিনেই মারা গেছেন ১১৮ জন। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে অন্যান্য দেশেও যেন মহামারি আকার ধারণ না করে সেজন্য এখনই সর্বোচ্চ তৎপরতা চালানো জরুরি বলে মনে করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধানম গেব্রিয়াসুস। তিনি বলেন, ভাইরাস প্রতিরোধের সুযোগগুলো কমে আসলেও এখনও এই ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব। সিএনএন, রয়টার্স
অন্তত ২৬টি দেশে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসে বিশেষ করে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ তৈরি করেছে। শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (কেসিডিসি) জানিয়েছে, রাতারাতি ১৪২ জন ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মোট সংখ্যা বেড়ে ৩৫০ জন হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। বাস্তবতাকে ‘জরুরি পরিস্থিতি’ বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী চুং সাই-কিয়ুন। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দায়েগু এবং চেওংডো কে ‘স্পেশাল কেয়ার জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে এবং দায়েগু শহরের সব রাস্তা ফাঁকা হয়ে গেছে। এছাড়াও তিন সেনার ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ায় সব সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে এ পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৬টি শহরে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ জন। লেবানন এবং ইসরাইলেও একজন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। নতুন রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ইতালি ও জাপানে। জাপানের উপক‚লে প্রমোদতরীতে ৬শ’ বেশি মানুষকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সম্পাদনা : রাশিদুল
আপনার মতামত লিখুন :