নিজস্ব প্রতিবেদক : এ যেনো দুই জুনিয়রের দারুণ সখ্যতার গল্প। ব্যাটে নেমে দুর্দান্ত ও অনবদ্য জুটি গড়ার পর সংবাদ সম্মেলনেও একে-অপরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। দলীয় ৬৯ রানে ৫ উইকেট পড়ে যখন কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল বিসিবি একাদশ, তখনই দলের হাল ধরেন তামিম ও আল-আমিন। শেষ পর্যন্ত দুইজনেই অপরাজিত শতক হাঁকিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। কয়দিন আগেই অনূর্ধ্ব ১৯ দলের পক্ষে বিশ্বকাপ মাতিয়ে এসেছেন তামিম। সেখানকার মতোই সাবলীল ব্যাটিং করলেন লাল বলেও।
তামিমের যুবদলের অন্যান্য সতীর্থরা যখন লাল বলে ব্যর্থ হয়েছেন, তখন শতক হাঁকিয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তার শতক হাঁকানোর রহস্য হিসাবে আল-আমিন মনে করেন, তামিমের ‘সাহসী’ ব্যাটিংয়ের মানসিকতা কাজে দিয়েছে।
তামিমের প্রশংসায় আল-আমিন বলেন, ‘আমরা দুইজন যখন উইকেটে ছিলাম বেশ চাপে ছিলাম। তখন ওর ব্যাটিংটা দেখে যা ভালো লাগছে যে খুব সাহস ছিল ওর ভেতরে। যেভাবে চায় ও সেভাবেই করে গেছে, ওর ভেতরে অন্য কোনো চিন্তা ছিল না। আমার মনে হয় এই জিনিসটার জন্যই ও সফল হয়েছে।’
জিম্বাবুয়ের সাথে জাতীয় দলের ম্যাচটি সম্পর্কে আল-আমিনের ভবিষ্যৎ-বাণী, ‘আমরা এখন যেই ক্রিকেট খেলছি, আমরা খুব ভালোভাবেই ওদের সাথে ম্যাচটা খেলতে পারব। আমার মনে হয়, ম্যাচটাতে আমরা দাপুটে জয় পাবো।’
বেশ কয়েক মৌসুম ধরেই ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত অলরাউন্ড পারফর্ম করে আসছেন আল-আমিন। বিসিবি একাদশের হয়ে শতক হাঁকানোর পরেও এখনি জাতীয় দলে ডাক পাওয়া নিয়ে ভাবছেন বলেই জানিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
‘এখনো ওসব নিয়ে চিন্তা করছি না। চেষ্টা করছি যেখানেই খেলি ভালো খেলার, নিজের সেরাটা দেয়ার। ফিটনেস নিয়েও কাজ করছি,’ বলেন আল-আমিন।
বিসিবি একাদশের পক্ষে তামিম ৯৯ বলে অপরাজিত ১২৫ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেছেন। আল-আমিন করেছেন ১৪৫ বলে অপরাজিত ১০০ রান। তার আগে বল হাতে ২টি উইকেট শিকার করেছিলেন আল-আমিন।