শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৪:০১ সকাল
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৪:০১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘যৌনকর্মী’ অপবাদ দিয়ে হোটেলে তরুণীকে দুই পুলিশের ধর্ষণ!

অনলাইন ডেস্ক: ‘যৌনকর্মী’ অপবাদ দিয়ে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী তরুণী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে চিকিৎসক।

সম্প্রতি ভারতের উত্তরপ্রদেশে গোরক্ষপুরের একটি আবাসিক হোটেলে এ ঘটনাটি ঘটেছে। গত শুক্রবার থানায় গিয়ে গোরক্ষপুর থানায় দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তবে এই ঘটনায় এখনো কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনে বলা হয়েছে, কয়েক দিন আগে পরিচিত কয়েকজনের সঙ্গে একটি হোটেলে যান গোরক্ষপুরের ২০ বছর বয়সী এক তরুণী। পরে হঠাৎই ওই হোটেলে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় ওই তরুণী হোটেলে একা ছিলেন।

পুলিশ তরুণীকে জিজ্ঞাসা করে, এই হোটেলে কী করতে এসেছেন? তবে তরুণীর অভিযোগ, তার কথা শুনতে চায়নি পুলিশ। তাকে ‘যৌনকর্মী’ বলে আক্রমণ করে তারা। বেধড়ক মারধর করতে করতে হোটেলে রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে দুজন পুলিশ সদস্য তাকে ধর্ষণ করে। এরপর অটোতে করে ওই তরুণীকে বাড়ি চলে যেতে বলেন।

বাড়ি ফিরে আসার পর তরুণীকে দেখে সন্দেহ হয় তার পরিচিতদের। কী হয়েছে জানতে চাইলে কেঁদে ফেলেন তরুণী। ধীরে ধীরে ধর্ষণের কথা জানিয়ে দেন বাড়িতে।

গত শুক্রবার থানায় যান তরুণী। গোরক্ষপুর থানায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

এদিকে তদন্তের স্বার্থে আপাতত হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজের ওপরেই নির্ভর করছে পুলিশ। মানসিক এবং শারীরিক দিক থেকে বিধ্বস্ত নির্যাতিতা। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গণধর্ষণের জেরে তার গোপনাঙ্গে ক্ষত তৈরি হয়েছে। মানসিকভাবেও যথেষ্ট ভেঙে পড়েছেন তিনি। তার শারীরিক অবস্থা এখনো স্থিতিশীল নয়।

এদিকে দুদিন কেটে গেলেও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাই পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে তুলেছেন রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা। অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে বহিষ্কারের দাবিতে ইতিমধ্যেই কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, বিএসপি এবং পূর্বাচল সেনার সদস্যরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়