সিরাজুল ইসলাম: তিনি বৃহস্পতিবার বলেন, মেয়ের কর্মের জন্য তিনি দুঃখিত। যেকোন বাবা-মার তার জন্য খারাপ লাগবে। ইয়ন
শামীমা বাংলাদেশে ঢুকলে অনুপ্রবেশের দায়ে বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন বলে আশঙ্কা করেন আহমেদ আলী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, শামীমার সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও সম্পর্ক নেই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শামীমা ব্রিটেনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন; সেদেশে নাগরিক হিসেবে বসবাস করতেন। তিনি বাংলাদেশের কাছে কখনও নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেননি। তাকে নাগরিকত্ব দেয়ার বিষয়টি আমরা বিবেচনা করছি না।
সন্ত্রাসে জড়ানোয় গত বছর তার নাগরিকত্ব বাতিল করে ব্রিটেন। এর বিরুদ্ধেও আপিল করে হেরে যান তিনি। আদালত নাগরিকত্বের জন্য তাকে বাংলাদেশে আবেদন করার পরামর্শ দেন। তার আইনজীবী ডেনিয়েল ফারনার বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি আইএসে যোগ দিতে শামীমাসহ তিন স্কুলছাত্রী লন্ডন ছাড়ে। তখন তার বয়স ছিলো ১৫ বছর। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ার শরণার্থী শিবিরে তার সন্ধান মেলে। তিনি তখন ৯ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। তার সন্তান জন্মের পর মারা যায়। এর আগে তার আরও দুই সন্তান আইএস শাসনের মধ্যে মারা যায়।
সিরিয়ায় নেদারল্যান্ডের যোদ্ধাকে শামীমা বিয়ে করেন। তিনি দেশে ফিরতে পেরেছেন। শামীমাকে সেদেশ নেয়নি। তার বাবার দাবি- আইএসে যোগ দিতে তার মগজ ধোলাই করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :