সোহেল রানা,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : মৌলভীবাজার শহরের সাইফুর রহমান সড়কের পিংকি সু-স্টোর নামের একটি জোতার দোকানে গত (২৮ জানুয়ারি) স্মরণকারের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে একই পরিবারের পাঁচজন নিহতের ঘটনার পর থেকে শহর জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ঘটনার পর থেকে সবার নজর বাণিজ্যিক এলাকা পশ্চিমবাজার ও সাইফুর রহমান সড়কের পাশে পিডিবির তারের জঞ্জাল নিয়ে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,শহরের সাইফুর রহমান সড়ক ও পশ্চিমবাজার সড়কে পিডিবির বৈদ্যতিক খুঁটি দিয়ে এলোমেলো বৈদ্যতিক তারের জটলা, একই সাথে রয়েছে ক্যাবল নেটওয়ার্কের তারসহ বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সংযোগ। প্রতিটি খুঁটি ঘিরে একাধিক প্রতিষ্ঠানের সংযোগ লাইন থাকার কারনে দুর্ঘটনার আশঙ্কা মাথায় নিয়ে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ শহরের স্যালিনি জুয়েলার্সের সামনে ও রাজিয়া ক্লথ ষ্টোরের সামনের দুটি খুঁটির মধ্যখানে পিডিবির যে ট্রান্সফরমার রয়েছে সেখানের সংযোগ লাইনে বৃষ্টির পানি লাগা মাত্রই অনেক সময় বৈদ্যতিক সর্ট লেগে আগুনের স্ফুলিং তৈরি হয়। একারনে সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে থাকেন।
শুধু ট্রান্সফরমার নয় প্রতিটি ভবন ঘেষে যে বৈদ্যতিক খুঁটি রয়েছে তাতে অতিরিক্ত তারের জঞ্জাল থাকার কারনে যেকোন সময় ঘটতে পারে ভয়াবহ অগ্নি দুর্ঘটনা।
মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডাঃ এম.এ আহাদ বলেন, বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ সংযোগ দিয়েই নিজেদের কাজ শেষ, পরবর্তীতে তাদের কোন নজরদারি নেই। তিনি বলেন, প্রতিটি বৈদ্যতিক খুঁটি থেকে বিদ্যুৎ লাইনের পাশাপাশি একই সাথে ইন্টারনেট ও ক্যবলনেটওয়ার্কের তার রয়েছে । এগুলো অপসারণ প্রয়োজন,এই তারের জঞ্জাল নিয়ে পিডিবি তদারকি না করলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থেকে যায়।
মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ফজলুর রহমান বলেন,বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্যেগ নেবো যাতে তার গুলো নিয়ন্ত্রিত থাকে। সবার সাথে আলাপ আলোচনা করেই বিষয়টি সমাধানের দিকে যাবে বলে জানান মেয়র ফজলুর রহমান। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুল বাহার জানান, এবিষয় নিয়ে আমাদের নিকট কেউ কোন আবেদন করেননি। তবে খুঁটি গুলোতে অনিয়ন্ত্রিত তারের কারনে শহরের সৌন্দর্যহানী হলে এটি পৌরসভা দেখার কথা।
তিনি আরো জানান সামনে পৌরসভার বৈঠকে বিষয়টি পৌরসভার মেয়রের সাথে আলোচনা করা হবে।
এদিকে শহরের আদালত সড়কের বিভিন্ন ভবনের সামনেও খুঁটিতে তারের এলোমেলো লাইন দেখা গেছে। সরকারি কলেজের ঠিক সামনের মার্কেট ঘষে বৈদ্যতিক খুঁটির মধ্যে এমনভাবে তার লাগানো হয়েছে সেখানে পিছনের মার্কেটের দু’তলার রুমগুলো ঠিকমত দেখা যায়না।
সম্পাদনায়: তিমির চক্রবর্ত্তী
আপনার মতামত লিখুন :