রাশিদ রিয়াজ : ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী ইসলামি বিপ্লবের প্রভাব সৃষ্টিকারী ও শক্তিশালী দিকগুলো চিহ্নিত করা এবং সেগুলোকে দুর্বল করার জন্য শত্রুদের নানামুখী ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শত্রুদের অন্যতম টার্গেট। তিনি তেহরানে ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিষয়ক উচ্চ পরিষদের সদস্যদের এক সমাবেশে এ কথা বলেন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইসলামি বিপ্লব বিজয়ের পর গত ৪০ বছরে ইরানের জনগণ শত্রুদের বহু ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেছে এবং এ অবস্থা কখনো থেমে থাকেনি। এ কারণে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বিরাজমান হুমকি মোকাবেলায় সবসময় প্রকৃত শত্রুকে চেনার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। অতীতের ঘটনাবলী এবং বর্তমানের কিছু ঘটনা থেকে বোঝা যায় ইরান ও ইরানের শাসন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য শত্রুরা একের পর এক নীল নকশ প্রণয়ন করে যাচ্ছে।
ইরানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মানুচেহের মোহাম্মদি বলেছেন, "ইরান বিরোধী মার্কিন ষড়যন্ত্রকে তিনটি পর্যায়ে বা সময়ে ভাগ করা যায়। প্রথম পর্যায়টি ছিল ইসলামি বিপ্লব বিজয়ের পর প্রথম দশ বছরে চাপিয়ে দেয়া বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ যেখানে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধ ছিল নরম যুদ্ধ যা কিনা চলে ২০১০ সাল পর্যন্ত। এ সময়টিতে শত্রুরা ব্যাপক অপপ্রচার চালিয়ে ইরানের জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস ও বিপ্লবী আদর্শকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চালায়। তৃতীয় পর্যায়ের যুদ্ধে শত্রুরা ইরানের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালায়। এ ভাবে তারা ইরানের ইসলামি শাসন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে আসছে।" পারসটুডে