প্রিতম আহমেদ : ট্রাফিক সার্জেন্ট (হলুদ পুলিশ) গাড়ি থামালেন। কাগজ চেক করার আগেই লাইসেন্স, ব্লুবুক, ট্যাক্স টোকেন, ইনস্যুরেন্স পেপার বের করে দিয়ে বললাম ‘কাগজ আপডেট আছে। তিনি খুব মনোযোগ দিয়ে সব চেক করে কোনো ত্রুটি না পেয়ে বললেন গাড়ির বোনাট খোলেন, ইঞ্জিন নম্বর চেক করবো। বুঝলাম তিনি আমার ভুল খোঁজার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। তিনি মনোযোগ দিয়ে নম্বর মিলিয়ে বললেন নম্বর একটু ছোট-বড় মনে হচ্ছে। আমি বললাম সেটা নিশ্চয়ই বিআরটিএর অফিসার দেখেই ফিটনেস অ্যাপ্রুভ করেছে। আপনি তাদের বিরুদ্ধে সন্দেহ পোষণ করতে পারেন। আমার বিরুদ্ধে নয়। আমি কিছু পরিবর্তন করিনি। সার্জেন্ট সাহেব অনেক চেষ্টার পর সফলভাবে ভুল ধরতে ব্যার্থ হয়ে কাগজগুলো ফেরত দিলেন। এই সমাজটাই যেন কেমন হয়ে গেছে। অবৈধকে বৈধ বানানোর চাইতে বৈধকে অবৈধ বানানোর চেষ্টাটাই সবাই বেশি করেন। সততাকে উৎসাহিত না করে অন্যায়কে উৎসাহিত করার চেষ্টাই বেশি।