বিনোদন ডেস্ক : বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে ব্যবসা সফল ছবি ‘বেদের মেয়ে জোসনা’য় তারকাদের মেকআপের দায়িত্বে ছিলেন কাজী হারুন। স্ট্রোক করার পর তার শরীরের একপাশ প্রায় অসাড় হয়ে যায়, হারান বাকশক্তিও। তাই বাধ্য হয়েই জীবিকার সন্ধানে ভিক্ষাবৃত্তিতে নামেন।
বর্তমানে স্ত্রী মহুয়া আকতারকে নিয়ে দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর ফরিদাবাদ বস্তিতে থাকেন হারুন। আর ভিক্ষা করে জীবনযাপনের খরচ চালান তিনি।
এর আগে, ২০১৮ সালে তার ভিক্ষা করার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরেও আসে। ২০১৯ সালে সেপ্টেম্বরে অনুদান হিসেবে কাজী হারুনের হাতে পাঁচলাখ টাকার চেক তুলেন দেন প্রধানমন্ত্রী।
কাজী হারুন জানান, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া পাঁচলাখ টাকা অনুদান দিয়ে চিকিৎসা আর সংসারের খরচ চালিয়েছেন এতদিন। তাই বাধ্য হয়ে পুনরায় তাকে পথে নামতে হয়েছে।
সুপার শপ ‘স্বপ্ন’ এক বছরের জন্য প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা সমমানের গৃহস্থালী পণ্য দিয়ে তাকে সহযোগিতাও করেছে। সেটিও অনেক আগে বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান হারুন।
এদিকে, ২০০৯ সালে স্ট্রোক করেন হারুন। এতে শরীরের ডানপাশ প্রায় অসাড় হয়ে যায়। অসুস্থ হওয়ার কারণে এফডিসির কাজেও আর ফিরতে পারেননি তিনি। চলচ্চিত্র জগৎ থেকে ছিটকে পরার পর শুরু হয় তার অর্থকষ্ট। অনেকটা বাধ্য হয়েই ২০১১ সাল থেকে ভিক্ষা শুরু করেন। অভাবের তাড়নায় এরই মধ্যে তিনি বিক্রি করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার হিসেবে পাওয়া সোনার মেডেলটিও।
উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেছিলেন হারুন। ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ছবির রূপসজ্জাকর হিসেবে কাজ করে বেশ প্রশংসিত হন তিনি। ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘হৃদয় থেকে হৃদয়’ ছবির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান এই মেকআপ আর্টিস্ট। এছাড়াও তিনি কাজ করেছেন ‘অন্য জীবন’, ‘শঙ্খমালা’, ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’, ‘জীবন সংসার’সহ শতাধিক ছবিতে।
আপনার মতামত লিখুন :