আসিফুজ্জামান পৃথিল : রাজ্যটির মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গিতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে। আনন্দবাজার
স্থানীয়রা বলছেন, সংঘর্ষ চলাকালে তৃণমূল কর্মীরা এলোপাথারি গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে এ দুজন মারা যান। স্থানীয়রা আরো জানান, গুলিবিদ্ধ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনার সঙ্গে তাদের সব সম্পর্ক অস্বীকার করেছে।
নবজাগরণ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন এ দিন জলঙ্গি থানা এলাকার সাহেবনগরে সিএএ বাতিলের দাবিতে এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে বনধের ডাক দেয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ওই সংগঠনে বিভিন্ন রাজনৈতির দলের কর্মীরা থাকলেও তারা মূলত অরাজনৈতিক একটি আন্দোলন তৈরির চেষ্টা করেছিলেন।
নুর ইসলাম নামে এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, এ দিন সকাল ৭টা থেকে সাহেবনগর বাজারে অবস্থানে বসেন বন্ধ সমর্থনকারীরা। সাড়ে আটটা নাগাদ তিন-চারটি গাড়ি এসে থামে বাজারের সামনে। ওই গাড়িগুলোতে ছিলেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা ও কর্মীরা।
ইমদাদুল হক নামে অন্য এক স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগ, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তহিরুদ্দিন মণ্ডল নিজে ঘটনাস্থলে ছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান। তাদের নির্দেশেই সঙ্গে থাকা তৃণমূলের লোকজন বাজারে থাকা জমায়েত লক্ষ্য করে বোমা মারতে থাকে।
১০এলাকার মানুষ প্রতিরোধ করতেই তারা ফিরে যাওয়ার পথে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। সেই গুলিতে মারা গিয়েছেন সানারুল বিশ্বাস (৬০) এবং সালাউদ্দিন শেখ (১৭)।