অনলাইন ডেস্ক : শীতের শুরু আর শেষের দিকেই ত্বক ও চুল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এই সময়টায় বাড়তি যত্ন নিতে হয় ত্বকের। ঘরোয়া উপাদানেই ত্বক ফাটা বা শুষ্কতা প্রতিরোধ করতে পারেন-
নারকেল তেল: শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসায় চমৎকার কাজ করে প্রাকৃতিক নারকেল তেল। নারকেল তেল শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসার জন্য পেট্রোলিয়াম জেলি হিসেবে নিরাপদ এবং কার্যকর। এই তেল উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বকের হাইড্রেশন উন্নত করে এবং ত্বকে লিপিডের (চর্বি) সংখ্যা বাড়ায়।
ওটমিলে গোসল: গোসলের সময় গুঁড়া ওটমিল যোগ করলে বা ওটমিলযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করলে শুষ্ক ত্বকের উপশমে সাহায্য করতে পারে। কাঁচা দুধ এবং ওট মিশিয়ে প্যাকও বানাতে পারেন।
দুধ: কাঁচা দুধ একটি কাপড় ভিজিয়ে তা পাঁচ থেকে ১০ মিনিটের জন্য ত্বকে প্রয়োগ করুন। দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড আপনার শুষ্ক ত্বকের জন্য বিস্ময়করভাবে কাজ করে।
দই: মুখে দই লাগালে তা আপনার ত্বক নরম এবং ময়েশ্চারাইজ করতে সহায়তা করে। এটি আপনার ত্বককে একটি মসৃণ টেক্সচার দেয়। আপনার ত্বকে সাদা দই প্রয়োগ করুন এবং প্রায় ১৫ মিনিটের জন্য ছেড়ে দিন। তারপর উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শুষ্কতা হ্রাস করতে সপ্তাহে কয়েকবার বা প্রতিদিনই দই প্রয়োগ করতে পারেন।
মধু: শুষ্ক ত্বকের জন্য আরেকটি দুর্দান্ত ঘরোয়া প্রতিকার হল মধু। মধু খুবই মযয়েশ্চারাইজিং এবং শুষ্কতা কমিয়ে ত্বক নরম করতে সাহায্য করবে। মধুতে অনেক ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এবং এতে অ্যান্টিমাইকোবিয়াল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। ফেসমাস্ক হিসেবে কাঁচা মধু প্রয়োগ করতে পারেন। শুকিয়ে গেলে উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে তিনবার মধু প্রয়োগ করলে আপনার ত্বকের শুষ্কতা এবং সাদা দাগ কমে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :