রাজীব রায়হান : এর আগে, রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন। মামলাটিতে ৪৬ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষ থেকে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজার দাবি জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, আসামি পক্ষের আইনজীবী মাইনুদ্দিন আসামিদের খালাস দাবি করেন। এরআগে, রাজধানীর পল্টন ময়দানে ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি সিপিবির সমাবেশে দুর্বৃত্তদের বোমা হামলায় পাঁচ জন মারা যান এবং আহত হন ২০ জন। ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে আসামিদের বিরুদ্ধে নির্ভরযোগ্য তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি মর্মে তদন্ত শেষে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছিল। ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা ও ২০০৫ সালের আগস্টে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা হয়। এসব ঘটনায় জঙ্গিরা জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়ার পর ২০০৫ সালে মামলাটি আবার তদন্তের আদেশ দেয়া হয়। ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর মামলাটি পুনঃতদন্তের পর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর মৃণাল কান্তি সাহা। ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত।
মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- মুফতি আব্দুল হান্নান, মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মশিউর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মহিবুল মুত্তাকিন, আমিনুল মুরসালিন, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিরাজ ও নুর ইসলাম। আসামিদের মধ্যে শেষের সাতজন পলাতক রয়েছে।
এছাড়া আসামিদের মধ্যে জঙ্গি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে এবং অপর পাঁচজন কারাগারে রয়েছে। বোমা হামলায় নিহতরা হলেন, খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার সিপিবি নেতা হিমাংশু মণ্ডল, রূপসা উপজেলার সিপিবি নেতা ও দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির শ্রমিক নেতা আব্দুল মজিদ, ঢাকার ডেমরা থানার লতিফ বাওয়ানি জুট মিলের শ্রমিক নেতা আবুল হাসেম, মাদারীপুরের মুক্তার হোসেন ও খুলনা বিএল কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন নেতা বিপ্রদাস।